কেউ প্রমাণ করতে পারবে না জিয়া যুদ্ধের সময় একটি গুলিও ছুড়েছিলেন

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:৩৩ পিএম


কেউ প্রমাণ করতে পারবে না জিয়া যুদ্ধের সময় একটি গুলিও ছুড়েছিলেন

সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেছেন, জিয়াউর রহমান একজন খেতাবপ্রাপ্ত তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা। তবুও আপনারা কেউ কখনোই প্রমাণ করতে পারবেন না যে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধকালীন নয় মাসে একটি গুলিও ছুড়েছিলেন।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে হাজার হাজার মানুষ খুন, গুম, ধর্ষণ, বোমা হামলা ও নির্যাতনের বিচারের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশ ‘মায়ের কান্না’ ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, জিয়াউর রহমানের সময় কত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে তার কোনো হিসেব নেই। জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন। তার উত্তরসূরিরা আজ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে জাতির পিতাকে এভাবে সপরিবারে হত্যার উদাহরণ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেদিন ১৫ আগস্ট শুধু আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি সেদিন বাংলাদেশকে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যা করা হয়েছিল বাঙালি জাতির আদর্শকে।

সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়। এগুলো হচ্ছে- বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা, অগ্নি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদেরকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে।

১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিক হত্যার অপরাধে জিয়ার মরণোত্তর বিচার করতে হবে।

মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আন্দোলনের নামে সমগ্র দেশে আগুন দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অপরাধে বিএনপির রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধসহ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।

জঙ্গিবাদ, অগ্নি সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ধর্ষণ ও বোমা হামলার মদদদাতা বিদেশে পলাতক আসামি তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমানুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, পূর্ণিমা রাণী শীল প্রমুখ।

এএসএস/ওএফ

Link copied