পরিসংখ্যান গরমিলের কারণে আলু চালের দাম বেশি ছিল

পরিসংখ্যান গরমিলের কারণেই আলু ও ধান-চালের দাম বেশি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সাম্প্রতিক সময়ে আলু ও ধান-চালের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, দেশে এগুলোর (আলু, ধান, চাল) আবাদ, উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতার (একর প্রতি) যে পরিসংখ্যান রয়েছে তা সঠিক নয়। কাজেই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও প্রকৃত তথ্য সংগ্রহের উপায় পরিসংখ্যানবিদদের বের করতে হবে।’
পরিসংখ্যানবিদ ও বিবিএসের (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সঠিক এবং প্রকৃত তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান প্রস্তুত করতে দেশীয় পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে। একইসঙ্গে বাস্তবতার আলোকে সংগ্রহ করা তথ্যের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের দরকার আছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজন সঠিক ও সময়োপযোগী পরিসংখ্যান। জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি যেকোনো ধরনের ইতিবাচক কৌশল গ্রহণে মানসম্পন্ন পরিসংখ্যানই কার্যকর দিকনির্দেশনা দিতে পারে। কিন্তু বিবিএসের জন্য সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা অনেক কঠিন। নির্ভরযোগ্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায় সে উপায় পরিসংখ্যানবিদ ও বিবিএসের কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
ইউরোপ, আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ্বে যে পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করে, আমাদের দেশে সেটি কতটুকু কার্যকর তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের বড় জনগোষ্ঠী, জনগণের শিক্ষা, সামাজিক ও মানসিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিয়ে কীভাবে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা যায়, সে রকম নিজস্ব পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে। একইসঙ্গে বাস্তবতার আলোকে সংগ্রহ করা তথ্যের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করতে হবে।
কৃষিখাতে সঠিক তথ্য খুবই দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বছরে কতটুকু উৎপাদিত হচ্ছে, চাহিদা কতটুকু বা বছরে উৎপাদন কতটুকু বাড়ছে, এসবের প্রকৃত ও সঠিক তথ্য দরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সমিতির সভাপতি ড. পিকে মো. মতিউর রহমান। গেস্ট অব অনার ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি টোমো হোযুমি। সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সভায় জানানো হয়, বিবিএস জরিপের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছে। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ হবে সম্পূর্ণ তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক বা ই-সেন্সাস। কম্পিউটার অ্যাসিসস্টেড পার্সোনাল ইন্টারভিউ (সিএপিআই) ব্যবহার হবে এই ই-সেন্সাসে।
একে/জেডএস