৫০ কর্মসূচিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন, ব্যয় ২৬০ কোটি

২০২১ সালের ২৬ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অর্থাৎ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে বছরব্যাপী সিরিজ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলো। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মূল আয়োজক হিসেবে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে। আলাদা আলাদা এসব সূচিতে থাকবে নানা চমক।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে ৫০টি কর্মসূচি পালিত হবে দেশ ও বিদেশে। এসব কর্মসূচির খসড়া পাঠানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অনুমোদন দিয়েছেন। এসব অনুষ্ঠান পালনে অর্থব্যয়ের বিষয়ে দুই ধরনের প্রস্তাব এসেছে। এক, সরকারি অর্থায়ন এবং দুই, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে স্পন্সর সংগ্রহ। তবে অর্থের জোগানের ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫০টি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জীবিত প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার কাছে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত শুভেচ্ছা বাণী পাঠানো
জানতে চাওয়া হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রস্তাবিত অনুষ্ঠানমালায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিভিন্ন দায়িত্ব বণ্টন করে কয়েকটি উপ-কমিটি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকটি কমিটি কী কী কাজ করবে, তাও জমা পড়েছে। সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। বাকিগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে পেয়ে যাব।

অনুষ্ঠানের ব্যয় প্রসঙ্গে সচিব বলেন, আমরা যে ব্যয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছি সেটি আরও বাড়তে পারে। অনুষ্ঠানগুলো ঠিক হওয়ার পর তা চূড়ান্ত হবে।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫০ কর্মসূচি
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫০টি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জীবিত প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার কাছে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত শুভেচ্ছা বাণী পাঠানো হবে। এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সমন্বয় করবে।
প্রস্তাবিত অনুষ্ঠানমালায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিভিন্ন দায়িত্ব বণ্টন করে কয়েকটি উপ-কমিটি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকটি কমিটি কী কী কাজ করবে, তাও জমা পড়েছে। সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। বাকিগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে পেয়ে যাব
তপন কান্তি ঘোষ, সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৫০টি জাতীয় পতাকাসম্বলিত সুবর্ণজয়ন্তীর র্যালি প্রতিটি জেলা প্রদক্ষিণ করবে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ জেলা প্রদক্ষিণ শেষে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মহাসমাবেশ।
সারাবছরব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে ভারত/রাশিয়াসহ বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। সংসদেও বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে, সেখানে বিদেশি রাষ্ট্রনায়করা ভাষণ দেবেন।
জাতীয় সংসদ, হাতিরঝিল ও অন্যান্য স্থানে নির্ধারিত দিনে ‘লাইট অ্যান্ড লেজার শো’র আয়োজন হবে। গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ব্যক্তিবর্গদের সমন্বয়ে সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ‘বীরাঙ্গনাদের’ অবদান নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে।
সুবর্ণজয়ন্তী মেলা, শিক্ষার্থীদের নিয়ে মুক্তির উৎসব, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক ‘গ্লোবাল বিজনেস সামিট’, আন্তর্জাতিক ফুটবল ও ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন হবে।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা পদক চালু, দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপন, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীরনিবাস নির্মাণ, তাদের ডিজিটাল পরিচিতিমূলক সনদপত্র ও স্মার্টকার্ড প্রদান করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৈরি এসব অনুষ্ঠানে ২৬০ কোটি টাকার সম্ভাব্য ব্যয় ধরে চাহিদা পাঠিয়েছে উদযাপন কমিটি। এর মধ্যে দেশের এক লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই কেনার জন্য ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্কুলের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা
মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশি বন্ধুদের সাক্ষাৎকার নিয়ে তা প্রচার; ভারতের ত্রিপুরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাধিস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ; মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরের হেডকোয়ার্টারে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ; মুজিবনগর থেকে নদীয়া পর্যন্ত প্রস্তাবিত স্বাধীনতা সড়কের নির্মাণকাজ শুরুসহ বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ; মোবাইলে বিশেষ গেম, টিভিসি ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হবে।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লের আয়োজন হবে। এতে খ্যাতিমান রাষ্ট্রনায়ক, বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, সাহিত্যিকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এদিন রাতে বিশেষ অতিথিদের নিয়ে বিশেষ নৈশভোজের ব্যবস্থা থাকবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক সংগীত, নৃত্য, ব্যাপক সাজসজ্জা ও আতশবাজি ফোটানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মন্ত্রণালয় বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি চূড়ান্ত করে তা মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে পালন করবে।
এসব অনুষ্ঠানে ব্যয় হবে ২৬০ কোটি টাকা
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৈরি এসব অনুষ্ঠানে ২৬০ কোটি টাকার সম্ভাব্য ব্যয় ধরে চাহিদা পাঠিয়েছে উদযাপন কমিটি। এর মধ্যে দেশের এক লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই কেনার জন্য ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্কুলের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা।
বছরব্যাপী এসব কর্মসূচির বাজেট প্রাথমিকভাবে ধারণা করে নির্ধারণ হয়েছে। কর্মসূচি ও বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা ও মতামত নেওয়া হচ্ছে
তপন কান্তি ঘোষ, সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
বছরব্যাপী অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য জেলা প্রশাসকপ্রতি এক কোটি টাকা করে মোট ৬৪ কোটি টাকা, প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের জন্য (সদর উপজেলা বাদে দেশের মোট ৪২৮টি উপজেলা) ৪০ লাখ টাকা ধরে ১২৮ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ডকুমেন্টারি, শর্টফিল্ম তৈরি বাবদ (বঙ্গবন্ধুর অবদান, বীরাঙ্গনা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, পাক বাহিনীর নির্যাতন, শরণার্থীদের জীবন চিত্রায়ণ) দুই কোটি ৬০ লাখ টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। এ মন্ত্রণালয়ের সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে মোট ২৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত ৩ জানুয়ারি সুবর্ণজয়ন্তী নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে এ বরাদ্দের প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়। সেখানে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের একটি সারসংক্ষেপ এবং এসব অনুষ্ঠান পালনের জন্য কয়েকটি উপ-কমিটি করা হয়।
টাকার উৎস যেভাবে
সুবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে পাঁচটি জাতীয় দিবস উদযাপনের জন্য বরাদ্দের অর্থ থেকে এ ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি/ফার্ম/ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি থেকে কিছু প্রস্তাব পাওয়া যাচ্ছে যা বাস্তবায়ন করা গেলে স্বাধীনতার চেতনা তৃণমূল পর্যন্ত সর্বসাধারণের মাঝে পৌঁছে দেওয়া যাবে।
৫০টি জাতীয় পতাকাসম্বলিত সুবর্ণজয়ন্তীর র্যালি প্রতিটি জেলা প্রদক্ষিণ করবে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ জেলা প্রদক্ষিণ শেষে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মহাসমাবেশ
এ বিষয়ে সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বছরব্যাপী এসব কর্মসূচির বাজেট প্রাথমিকভাবে ধারণা করে নির্ধারণ হয়েছে। কর্মসূচি ও বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা ও মতামত নেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রীদের নেতৃত্বে চার উপ-কমিটি
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালা সফর করতে মন্ত্রীদের নেতৃত্বে চারটি উপ-কমিটি করা হয়েছে। এর মধ্যে লোগো নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যে কমিটি করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ কমিটির আহ্বায়ক এবং কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
থিম সং নির্বাচনের জন্য তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। সদস্য সচিব করা হয়েছে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকিকে। সদস্য হিসেবে কাজ করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব অসীম কুমার।
এছাড়া ওয়েবসাইট তৈরির জন্য জুনাইদ আহমেদ পলককে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যে কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে আছেন এটুআই প্রকল্পের পরিচালক ড. আবদুল মান্নান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। এ কমিটি ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওয়েবসাইট তৈরির কাজ শুরু করবে।
মন্ত্রীদের আরও যত প্রস্তাব
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী শেষ হলেও যেসব অনুষ্ঠান ওই সময় হবে তা সংরক্ষণের জন্য একটি মানসম্মত ওয়েবসাইট বানানোর প্রস্তাব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ওয়েবসাইট যেন নির্ভুল হয় সেজন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন তিনি। এ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট মিলে একটি চুক্তিপত্র সই করবে।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার বিষয়ে প্রচারের পাশাপাশি অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা ২৬ মার্চ থেকে শুরু করে ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ শেষ করার প্রস্তাব করেন পলক। মার্চে অথবা ডিসেম্বরে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রোগ্রাম এবং ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ অথবা ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার ৫০ বছর’ নামে ৫০ মিনিটের একটি এনিমেশন ফিল্ম নির্মাণেরও প্রস্তাব করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যে মেলা হবে তা ‘স্বাধীনতা মেলা’ হিসেবে নামকরণের প্রস্তাব দেন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির কথাও জানান তিনি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অথচ যারা যথাযথ মর্যাদা পাননি তাদের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমিসহ বিভিন্ন স্থানে তুলে ধরার প্রস্তাব করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিদেশি বন্ধুদের পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, মুজিবনগর থেকে নদীয়া পর্যন্ত রাস্তার নাম ‘স্বাধীনতা সড়ক’ করার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ৫৩টি দেশ। এসব দেশ নিয়ে আলাদা প্রোগ্রাম করার প্রস্তাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুতি শুরু করেছে। সব সেনানিবাসে ক্ষণগণনা, কনসার্ট, লেজার শো, প্রকাশনা ও মেলার আয়োজন হবে। এছাড়া দুর্লভ ছবি সংগ্রহ, প্রকাশনা অব্যাহত থাকবে। শান্তিরক্ষী বাহিনীর অবদানকে তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, দেশের সব প্রাথমিক স্কুলে মুক্তিযুদ্ধের কর্নার স্থাপন করা হচ্ছে।
এনএম/এমএআর
