গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:২২ এএম


গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিচালিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দীর্ঘ ৫১ বছরেও আদায় হয়নি। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা করেছে।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নেদারল্যান্ডসের প্রবাসী সংগঠন বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ (বাসুগ), আমরা একাত্তর ও প্রজন্ম একাত্তর আয়োজিত '১৯৭১-এ বাংলাদেশ জেনোসাইডের স্বীকৃতি চাই : জাতিসংঘ স্বীকৃতি দাও' শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৫ হাজার মানুষকে হত্যা করে। পৃথিবীতে এতো কম সময়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ হত্যার রেকর্ড নেই। এরপর দীর্ঘ ৯ মাসে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে ও সারাদেশে ব্যাপক লুটতরাজ চালিয়েছে। দুই লাখ মা বোনের উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে। তাই ওই গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ৯ ডিসেম্বরের পাশাপাশি ২৫ মার্চকেও আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা দিতে হবে। জাতিসংঘের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি আদায়ের জন্য দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সেই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্বাধীনতা বিরোধীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিচার শুরু করেছে। রাজাকার-আলবদরদের তালিকা তৈরি জন্য সংসদে আইন পাস হয়েছে। আমি আশা করি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দলগুলোর নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন বাতিল করবে।

আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন 'আমরা একাত্তর'-এর সভাপতি ও ডাকসু'র সাবেক জিএস মাহবুব জামান শওকত, সংগঠনটির প্রধান পরিচালক আব্দুর রশিদ, প্রজন্ম একাত্তরের  প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ রেজা নূর প্রমুখ।

আলোচনা থেকে দাবি আদায়ে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মসূচিগুলো হচ্ছে,  আগামী ২ অক্টোবর বিকেল ৪টায় নিউইয়র্ক জাতিসংঘ ভবনে সামনে, লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে, সিডনি, কানাডার টরোন্টো ও মন্ট্রিলে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে; ৩ অক্টোবর বিকেল ৩টায় জেনেভায় জাতিসংঘ ভবনের এক্সএক্সভি কক্ষে আলোচনা করা হবে।

এমএইচএন/এসকেডি

Link copied