মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষে আহত তিনজন ঢামেকে

মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার দিকে তাদের হাসপাতালে আনা হয়।
আহতরা হলেন, যুবদলকর্মী মো. শাওন (২১), বিএনপিকর্মী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) ও ছাত্রদলকর্মী মো. তারেক (২০)। তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ সামি।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে আমাদের অনেক নেতা-কর্মী আহত হন। আহত অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে যুবদলকর্মী শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিনজনকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে। একজনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা, মুন্সীগঞ্জ শহর ও মিরকাদিম পৌর বিএনপি যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। দুপুর আড়াইটা থেকে মুক্তারপুর এলাকার আশপাশে বিএনপি নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকে। পুলিশও অবস্থান নেয় আগে থেকেই। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় আসতে শুরু করে।
কর্মসূচি থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন দেশি অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের ২০ থেকে ২৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমাদের অনেকগুলো মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। অনেক পাবলিকের গাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন যায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, মিটিং-মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে যাতে হয়, সেজন্য আমরা অবস্থান করি। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা হঠাৎ করে পুলিশের ওপর হামলা করে। আমার মনে হয় পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তারা রাস্তার পাশের ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পরে টিয়ার শেল ছোড়ে। অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসএএ/আরএইচ