চতুর্থ ধাপের পৌরভোটের নির্বাচনী ও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন

চতুর্থ ধাপের পৌরসভা ভোটের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তিতে ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনে মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/আপিল গ্রহণ ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ ও ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে’ শুনানি ও নিষ্পত্তি করা হবে।
সোমবার (০১ মার্চ) ইসি’র উপসচিব আফরোজা শিউলী (আইন) স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চতুর্থ ধাপের পৌর নির্বাচনের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/আপিল গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তিতে ‘যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ’ এর সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ এবং ‘জেলা ও দায়রা জজ’ এর সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ২৪ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন ও বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভা নির্বাচনের সব বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৮ নং আইন) এর অধীন নির্বাচন সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নিবার্চন কমিশন একজন উপযুক্ত পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল এবং একজন উপযুক্ত পদমযার্দার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে।
পৌরসভা নির্বাচনের ফল গেজেটে প্রকাশের তারিখ হতে ত্রিশ দিনের মধ্যে নির্বাচন বা নির্বাচনী কার্যক্রম বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা যাবে এবং এভাবে কোনো মামলা দায়ের করা হলে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল মামলা দায়ের হওয়ার তারিখ থেকে একশ আশি দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে।
নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের রায়ে কোনো ব্যক্তি সংক্ষুদ্ধ হলে ওই ব্যক্তি রায় ঘোষণার তারিখ থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করতে পারবেন এবং ওভাবে কোনো আপিল দায়ের করা হলে নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল দায়ের হওয়ার তারিখ হতে একশ বিশ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে। নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
এসআর/জেডএস