তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে তরুণদের অনুঘটকের ভূমিকায় চায় টিআইবি

তথ্য অধিকার আইন ও তথ্য চাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন ও সক্রিয় অনুঘটক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দেওয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২২ উদযাপনের অংশ হিসেবে টিআইবি ও কাপেং ফাউন্ডেশন যৌথভাবে ওই কর্মশালা আয়োজন করে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা ও নির্ভরযোগ্য গবেষণা থেকে দেখা যায়, যে দেশে যত বেশি তথ্যের অবাধ প্রকাশ নিশ্চিত করা যায়, সে দেশে ততো বেশি মানবাধিকার সুরক্ষা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি অর্জিত হয়। আমাদের দেশে আইনটি প্রণয়নের মাত্র ১৩ বছরে দীর্ঘকালের লালিত গোপনীয়তার সংস্কৃতি থেকে উত্তরণ করে স্বচ্ছতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে, সে আশা করা দুরূহ। কেননা অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মতো আইনের মাধ্যমে আমাদের দেশে ঔপনিবেশিককালের গোপনীয়তার সংস্কৃতি এখনও সরকারের একটি অংশের মধ্যে রয়ে গেছে। যদিও তথ্য অধিকার আইনের ফলে এ আইনের বিলুপ্তি হওয়ার কথা ছিল।
তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইনের সর্বোত্তম প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উপযুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক ও মানসিকতার পরিবর্তন নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য তথ্য প্রদান ও প্রকাশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তথ্য প্রকাশের মানসিকতা সৃষ্টিতে উদ্যোগী হতে হবে। একইসঙ্গে, তথ্য অধিকার আইন ও তথ্য চাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনসাধারণকে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন ও সক্রিয় অনুঘটক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আজ টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৫ জন আদিবাসী তরুণকে ‘তথ্য অধিকার আইন ২০০৯’ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি তথ্যপ্রাপ্তির আবেদন প্রক্রিয়া ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান ও অ্যাডভোকেট রুহি নাজ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।
আরএম/এসকেডি