প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আলোচনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার জনাব শামসুল হক টুকু। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর হারুন অর রশিদ, প্রফেসর মাহফুজা খাতুন, মাওলানা আজাদ, প্রফেসর আব্দুল মান্নান, প্রফেসর নিজামুল হক, সৈয়দ বোরহান কবির, প্রফেসর সাদেকা হালিম, ড. উত্তম বড়ুয়া, ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার প্রমুখ।
ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে যদি জানতে চান তাহলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে যদি জানতে চান তাহলে বাংলাদেশকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু যদি জীবিত থাকতেন তাহলে বাংলাদেশকে আরও আগেই উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতেন। এখনই সময়, দুশমনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। সময় এসেছে আমাদের আবারও ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬৯ ও ১৯৭১ এর মতো একতাবদ্ধ হয়ে হিংস্র শকুনের দলকে রুখে দেওয়ার। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই, সব দলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে চায়।
৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, আমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তিমির হননের নেত্রী। যিনি অর্থনীতিতে সফল, যিনি গণতন্ত্রের নেত্রী, বিশ্ব নেতাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরেছিলেন বলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত। সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৭ সালে ৩ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর যদি জন্ম না হতো তাহলে আজ বাংলাদেশের জন্মই হতো না, পাকিস্তান থেকে যেত। একমাত্র বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে পরিচিত।
ওএফ
