শেরপুর জেলার উন্নয়নে ৮ দফা দাবি

শেরপুর জেলার উন্নয়নে আট দফা দাবি জানিয়ে ঢাকায় মানববন্ধন করেছে শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ নামে একটি সংগঠন।
রোববার (৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দাবিগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখলেই বোঝা যায় যে, শেরপুর জেলায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। শেরপুর জেলার পরিচয় দিলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়- এটি কোন জেলা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একমাত্র শেরপুর জেলা বঞ্চিত। আওয়ামী লীগ সরকারকে বারবার শেরপুরের জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলেও তাদের কোনো উন্নয়ন সাধন হয়নি। কী অন্যায় করেছিল শেরপুরের জনগণ? তাদের কেন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে?
মানববন্ধনে সংগঠনের যুগ্ম সমন্বয়কারী হাফিজুল করিম বলেন, দ্রুত শেরপুর জেলার উন্নয়নে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সারাদেশে উন্নয়ন হলেও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত শেরপুর জেলা। ১৮৬৯ সালে শেরপুর পৌরসভা স্থাপিত হয়। পরে ১৯৮২ সালে শেরপুর জেলাকে ৬১তম জেলা হিসেবে উন্নীতকরণ করা হয়।
এ সময় আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ঢাকা থেকে শেরপুর যাতায়াতের জন্য ময়মনসিংহ হয়ে শেরপুরের নকলা উপজেলার মধ্য দিয়ে শেরপুর সদর পর্যন্ত রেলসড়ক নির্মাণ যা পরে শ্রীবরদী, বকশীগঞ্জ ও রাজিবপুর হয়ে রৌমারী পর্যন্ত প্রশস্ত করা যেতে পারে। আধুনিক উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি চিকিৎসার শাস্ত্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা। শেরপুর যেহেতু কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা, তাই এখানে কৃষি, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার সমন্বয়ে একটি আধুনিক উচ্চতর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা কর।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, আক্তার হোসেন, ফরিদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয়, ঢাকা কলেজের ছাত্র সোহান প্রমুখ।
এএসএস/আরএইচ