খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বেসরকারি সংগঠনের ভূমিকা জোরদারের দাবি

সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বেসরকারি সংগঠনের ভূমিকা জোরদার করার দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পারিবারিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের সংগঠন গড়ার তাগিদও দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) এএলআরডি লালমাটিয়ার সম্মেলন হলে দেশের বিভিন্ন জেলার বেসরকারি সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানানো হয়।
এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় দেশের ২২টি জেলা থেকে ৩২টি বেসরকারি সংস্থা, নাগরিক সংগঠনের নির্বাহী প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এএলআরডির উপ-নির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি বলেন, ক্ষুদ্র কৃষকদের মধ্যে নারী কৃষকদের উপস্থিতি এবং ভূমিকা বেড়েছে। তাদের স্বীকৃতির বিষয়টি রাষ্ট্রকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শামসুল হুদা বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলার জন্য যে প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়েছেন, বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে বেসরকারি সহযোগী সংস্থাগুলোকে স্ব স্ব কর্ম এলাকায় কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।
সভায় বক্তারা বলেন, জাতিসংঘের পারিবারিক দশক ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সংকট মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজের প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। সব প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে গ্রামীণ নারী কৃষক, ভূমিহীন ও দরিদ্র বর্গা চাষি, বনবাসী, আদিবাসী, জেলে ও যুবদের সরকারের খাদ্যসহ বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তিতে অভিগম্যতা নিশ্চিত করে দেশের খাদ্য সংকট নিরসন নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।
সভায় গৃহীত সুপারিশে বলা হয়, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য একদিকে প্রতি ইঞ্চি কৃষিজমি সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ, কৃষিজমিকে প্রকল্পের নামে অকৃষি কাজে ব্যবহার করা বন্ধ করা, প্রতিটি ইউনিয়ন ও অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকটে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন, খাদ্য বণ্টন এবং খাদ্য ব্যবস্থায় নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের জন্য নাগরিক কমিটি গঠনের উদ্যোগসহ আরও বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
এএসএস/এসএসএইচ