এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।
বুধবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাতে এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এইচ টি ইমামের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আজীবন কাজ করে গেছেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য স্বাধীন দেশে সরকার পরিচালনায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনায়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারাল। রাষ্ট্রপতি মরহুম এইচ টি ইমামের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অপর শোকবার্তায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক বার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এবং চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে এইচ টি ইমামের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার এক শোকবার্তায় মন্ত্রী প্রয়াত এইচ টি ইমামের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) এক শোকবার্তায় হোসেন তৌফিক ইমামের (এইচ টি ইমাম) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, দেশপ্রেম, বীরত্ব, মেধা ও অনন্য প্রতিভা এবং প্রগতিশীল চিন্তার জন্য নিজেকে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন এইচ টি ইমাম। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তান সরকারের চাকরিতে থাকা অবস্থায় পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে তিনি শুধু সাহসিকতার দৃষ্টান্তই স্থাপন করেননি, তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করে প্রবাসী সরকারের কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করেছিলেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবেও তিনি দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর সরকারের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে ভূমিকা রেখেছেন বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এক শোকবার্তায় প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে এইচ টি ইমামের অসামান্য অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে। তার মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে মুজিবনগরে গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকারের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি এইচ টি ইমামের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।
মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক ও বাহক এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে জাতি অসাধারণ মেধাসম্পন্ন, প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী একজন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারাল। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ প্রবীণ রাজনীতিবিদের অবদান বাঙালি জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।
এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রী আজ (বৃহস্পতিবার) এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মন্ত্রী শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার এক শোকবার্তায় তারা বলেন, স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে এইচ টি ইমামের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্মজীবনে তিনি একজন দক্ষ, বিচক্ষণ ও দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের লোভনীয় চাকরি ইস্তফা দিয়ে দেশের পক্ষে কাজ করেন। তিনি আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে গেছেন।
শোকবার্তায় শিল্পমন্ত্রী ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। প্রতিমন্ত্রী শোকবার্তায় বলেন, এইচ টি ইমামের দেশপ্রেম, বীরত্ব, মেধা ও প্রতিভা অনন্য। তিনি প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ ছিলেন।
গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আজ (বৃহস্পতিবার) এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জানান, এইচ টি ইমাম এক বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে এইচ টি ইমামের অসামান্য অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মতো বিচক্ষণ ব্যক্তির মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, এইচ টি ইমাম ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের লোভনীয় চাকরি ইস্তফা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে গেছেন।
শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে শোকবার্তায় বলেন, এইচ টি ইমাম একজন দক্ষ, বিচক্ষণ ও দায়িত্বশীল কর্মকমর্তা ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন সৎ ও বিচক্ষণ কর্মবীরকে হারাল।
আমির হোসেন আমু মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। শোকবার্তায় নির্মূল কমিটি বলছে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ইতিহাস সংরক্ষণসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিভিন্ন সময়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
শোকবার্তায় স্বাক্ষরকারীরা হলেন-বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ডা. কাজী কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর সাত্তার বীরউত্তম, ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অব.), মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, ড. ফরিদা মজিদ, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডা. শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডা. ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল-ই এলাহী চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গফফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, অ্যাডভোকেট আজাহার উল্লাহ্ ভূইয়া, সংগীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, সমাজকর্মী চন্দন শীল, অ্যাডভোকেট কাজী মানছুরুল হক খসরু, অ্যাডভোকেট দীপক ঘোষ, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদ উল্যাহ, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক, সাংবাদিক দিব্যেন্দু দ্বীপ, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, অ্যাডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী পূর্ণিমা রাণী শীল, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি।
এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। বৃহস্পতিবার শোকবার্তায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী এইচ টি ইমাম মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি আমৃত্যু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও বিকাশে নিরলস কাজ করেছেন। তার মতো জনসেবক ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আইজিপি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান জাপা চেয়ারম্যান।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে দেশপ্রেমিক এইচ টি ইমাম প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দেশ গঠনে অসামান্য অবদান রেখেছেন। দেশের স্বার্থে প্রতিটি কাজে তিনি মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
এইচ টি ইমাম বুধবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা হয়েও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭১-এর মার্চ মাসে তিনি রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মর্যাদায় জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা নিয়োগ করেন।এইচ টি ইমাম আমৃত্যু আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ইতিহাস সংরক্ষণসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিভিন্ন সময়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
পিএসডি/এইউএ/জেইউ/এনএম/এনআই/এসআই/এএইচআর/এজেড/এনইউ/ওএফ/এইচকে/এমএমজে