গণতন্ত্র জাতিকে দল-উপদলে বিভক্ত করে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে

ইসলামী সমাজের আমির সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলছেন, গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম নৈরাজ্য চলছে। গণতন্ত্র জাতিকে বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত করে সংঘাত ও সংঘর্ষের পথে ঠেলে দিয়েছে। সরকার ও সরকার বিরোধীরা ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাত ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
রোববার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ইসলামী সমাজ আয়োজিত ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী সংঘাতময় রাজনীতি : এ থেকে উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংঘাত ও সংঘর্ষের কারণে জাতীয় জীবনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সংঘাতময় রাজনীতির কারণে মানবতা আজ ধ্বংসের মুখোমুখি। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে রাজনৈতিক অঙ্গনে সংঘাতময় অবস্থা বিরাজ করছে। মানব রচিত ব্যবস্থার সংঘাতময় রাজনীতি বিশ্বের মানুষকে দুনিয়ার জীবনে মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি করেছে এবং আখিরাতের জীবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পক্ষ নেওয়ায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবস্থান তৈরি হয়েছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে হুমকি দিচ্ছে ও অর্থনৈতিক অবরোধের নামে অবৈধ নেতারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেই চলছে।
মানব রচিত ব্যবস্থা মেনে চলার কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী রাজনীতির নামে মানুষে মানুষে সংঘাত ও সংঘর্ষ চলছে এবং এর মাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করছে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য বিশ্বের মানুষের জীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। ধর্মের নামেও সন্ত্রাস, উগ্রতা ও জঙ্গিবাদী অপতৎপরতার বিস্তার ঘটছে।
তিনি বলেন, ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ও ধ্বংস থেকে বাঁচতে হলে মানব রচিত ব্যবস্থার সংঘাতময় রাজনীতি মূলোৎপাটন করতে হবে। সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় আল্লাহ প্রদত্ত মুহাম্মদের (সা.) প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ লক্ষ্যেই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ঈমানি, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে ইসলামী সমাজ।
সংগঠনের আমির ইসলাম প্রতিষ্ঠায় শান্তিপূর্ণ তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হচ্ছে- দেশ ও জাতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে মত-বিনিময়; প্রচলিত রাজনৈতিক ও ইসলামী দলসমূহের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রাজধানী ঢাকা ও ৮টি বিভাগে ৮টি শান্তি সমাবেশ করা।
ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মাদ ইয়াছিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
আইবি/ওএফ