জনগণের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে পুলিশ : আইজিপি

কমিউনিটি পুলিশিং-বিট পুলিশিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশ এখন জনগণের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২’ উপলক্ষে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথম ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তখন আপনারা দেখেছেন পাহাড়ি এলাকায় কী অবস্থা ছিল, সেখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলতো। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে আভিযানিক অপারেশনের পাশাপাশি তাদের আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগও দিয়েছি। এরপর থেকেই পাহাড়ি এলাকায় শান্তির সুবাতাস বইছে।
এই সরকারের সময় যেভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন করা হয়েছে বা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে তা বিশ্বব্যাপী আজ প্রশংসিত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সফলভাবে দমন করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। এখন প্রতিমাসে সারাদেশে প্রতি থানায় ওপেন হাউস ডে পালন করা হয়। যেখানে সাধারণ মানুষ পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন, তাদের সমস্যা তুলে ধরেন। এতে করে সাধারণ মানুষ থানাগুলো থেকে কেমন সেবা পাচ্ছে, ওই এলাকায় কী ধরনের অপরাধ বেশি ঘটছে, কিসের জন্য এমনটি ঘটছে সাধারণ মানুষের পরামর্শ নিয়ে পুলিশ সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা স্বাধীন দেশের পুলিশ, আপনারা জনগণের পুলিশ, আপনাদের দায়িত্ব জনগণকে সেবা করা। কমিউনিটি পুলিশ ও বিট পুলিশিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশ এখন জনগণের কাছাকাছি চলে গেছে। এতে করে জঙ্গিবাদের সন্ত্রাসবাদ দমন করা সহজ হয়ে গেছে।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের সব জেলা, রেলওয়ে, হাইওয়ে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও মেট্রোপলিটন ইউনিটে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের চলমান কার্যক্রমকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী মোট ৫৪ হাজার ৭১৮টি কমিটিতে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০১ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ সারাদেশে ৬ হাজার ৫৩৩ বিটে দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া গত ২০২১-২২ পর্যন্ত সময়ে সারাদেশে মোট ৪ হাজার ৩৫৬টি ওপেন হাউজ ডে-তে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪৮টি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময়ে অপরাধ প্রতিরোধমূলক বিট পুলিশিংয়ের ৩৩ হাজার ৮২টি সভা করা হয়েছে।
এমএসি/এসএম