অন্যায় পেলে বন্ধ করে দেওয়া হবে মাদক নিরাময় কেন্দ্র

দেশের মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে কোনো ধরনের অন্যায় পাওয়া গেলে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিকেলে সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি রাজধানীর মালিবাগ রেল গেইটে অবস্থিত হলি লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আদাবরের একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে এর আগে পুলিশের একজন সিনিয়র এএসপি নিহত হয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এছাড়া মালিবাগের হলি লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মারা যাওয়া ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে আমাদের টিম গিয়েছিল। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৯টি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লাইসেন্স বন্ধ করে দিয়েছি। যেসব মাদক নিরাময় কেন্দ্রে অন্যায় পাওয়া যাবে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এ সময় মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোর চলমান অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলেন, কিছু কিছু জায়গায় সীমাবদ্ধতার কারণে অসংগতি রয়েছে। তবে অধিকাংশ মাদক নিরাময় কেন্দ্র সঠিকভাবে চলছে। মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলো আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করছি।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অস্ত্র ও মোবাইল ট্র্যাকার প্রয়োজন কি-না জানতে চাইলে সংস্থাটির ডিজি বলেন, আমাদের একটি এজেন্ডা আছে। সে এজেন্ডায় আমরা অস্ত্রের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। সাধারণত মাদক ব্যবসায়ীরা অনেক ভয়ংকর হয়। এরা অনেক সময় আমাদের ওপরও অস্ত্র প্রয়োগ করেছে। এ ধারাবাহিকতায় আমরা এখন অনুধাবন করছি যে আমাদের অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের তত্ত্বাবধায়নে একটি কমিটি রয়েছে। এ কমিটি এখন বিচার-বিশ্লেষণ করছে কিভাবে, কি উপায়ে আমাদেরকে অস্ত্র দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে আরও একটি বিষয় আমরা অনুধাবন করেছি যে আমাদের অবশ্যই মোবাইল ট্র্যাকার প্রয়োজন। খুব সহজে এর সাহায্যে আমরা অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পারব।
মন্ত্রিসভা থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কি কারণে অভিযান পরিচালনার কথা বলা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ কারণ তো একটা অবশ্যই রয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাদক ব্যবসার প্রবণতা রয়েছে। সেজন্য আমাদের অভিযান চালাতে বলা হয়েছে।
পুলিশের মধ্যে যারা মাদকসেবী রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কোনো সদস্য মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিজি বলেন, এ বিষয়ে একটি বিধিমালা তৈরি হচ্ছে। এটি তৈরি হলে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কাজ করা যাবে। তবে আমাদের একজন সদস্যকে মাদকের সঙ্গে জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা গেছে। তার বিরুদ্ধে এখন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসি/এমএইচএস