নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের ১২তম দিনেও নীরব পিএসসি

ছয় দফা দাবি নিয়ে ১২তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিসিএস নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীরা। আজকের কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা ‘ বঙ্গবন্ধুর বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এবং ‘বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগে আগের নিয়ম বহাল চাই’ লেখা টি-শার্ট পরিধান করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তবে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির আজ ১২তম দিনেও সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে দায়িত্বশীল কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তবে পিএসসির এই নীরব ভূমিকায় আগামীতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে তারা পিএসসির গেটে মিছিল, কবিতা, গান ও বক্তৃতার মাধ্যমে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনকারী কয়েকজনের সঙ্গে ঢাকা পোস্টের কথা হলে তারা জানান, আমরা লাগাতার ১২ দিন ধরে ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পিএসসির কোনো প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। তবে আমদের সঙ্গে পিএসসির এই অবিচার মেনে নেওয়া হবে না। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই—আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর লং-মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করবো৷
তারা জানান, আমাদের আন্দোলন বা দাবি নিয়ে যেন তাদের মাথাব্যথা নেই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেও কোনো সমাধান না আসলে সামনে পিএসসি চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করার কর্মসূচিও আসতে পারে।
এ সময় আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীরা ‘কালো বিধির কালো হাত ভেঙে দাও-গুঁড়িয়ে দাও’, ‘দুর্নীতির কালো হাত ভেঙে দাও-গুঁড়িয়ে দাও’, ‘লাল ফিতার কালো হাত ভেঙে দাও-গুঁড়িয়ে দাও’, ও ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য মানি না মানবো না’—ইত্যাদি স্লোগানে মিছিল করেন।
এদিকে গত ৩১ অক্টোবর পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন অফিস শেষ করে বের হলে আন্দোলনকারীরা তার গাড়ি অবরুদ্ধ করে শুয়ে পড়েন। পরে আন্দোলন সমন্বয়কদের সিদ্ধান্তে চেয়ারম্যানের গাড়ি বের হতে দেওয়া হয়।
এমএম/কেএ