হংকং কনভেনশনের শর্ত প্রতিপালনে সাহায্য করবে জাপান

জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের জন্য দি হংকং কনভেনশন-এর শর্ত প্রতিপালনে বাংলাদেশকে সব ধরনের সাহায্য করবে জাপান।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা জানান।
রাজধানীর মতিঝিলে শিল্পমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ ফয়েজুল আমিন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও মো. আব্দুল ওয়াহেদ, উপসচিব মো. মোমিনুর রশীদ এবং ঢাকায় জাপানি দূতাবাসের অর্থনীতি বিষয়ক প্রথম সচিব আজুমায়া কেনজি উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরের সময় জাপানি ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ সংক্রান্ত সহযোগিতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, দি হংকং কনভেনশনের শর্তগুলো প্রতিপালনের জন্য জাপান সম্ভাব্য সবরকম সাহায্য বাংলাদেশকে করবে। তিনি জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাসিলিটিজ অর্থাৎ ট্রিটমেন্ট, স্টোরেজ অ্যান্ড ডিসপোজাল ফ্যাসিলিটি (টিএসডিএফ) স্থাপনের জন্য চট্টগ্রামের মিরেশরাই ও সীতাকুণ্ড এলাকার একাধিক বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরেন।
শিল্পমন্ত্রী সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা’র আদলে আরেকটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা করা হয়। জাপানি রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
এসআই/জেডএস