ছুরিকাঘাতে আহত শহর আ.লীগ সদস্যের মৃত্যু
যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার বেজপাড়া এলাকায় ছুরিকাঘাতে আহত আসাদুজ্জামান আসাদ (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি যশোর শহর আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক)হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত আসাদুজ্জামান স্ত্রী উর্মি জামান অভিযোগ করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্বামীকে তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমার সন্তানদের নিয়ে আমি এখন কী করব।
চঞ্চল, খবির হাসান এবং কাস্টমস কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ মুখার্জিসহ কয়েকজন মিলে তার স্বামীকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন নিহতের স্ত্রী উর্মি জামান।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী স্থানীয় এমপি নাবিলের গ্রুপ করতো। আর যারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে তারা ভাড়াটে খুনি। আমার স্বামী অনিক ঝিলিক ডেইরি ফার্মের মালিক ছিল। গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার সময় ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে আমার স্বামী বাসায় ছিলেন। এ সময় তারা আমার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। আমি আমার স্বামী হত্যার সঠিক বিচার চাই। আমাদের বাসা যশোর কোতোয়ালি থানার বেজপাড়া এলাকায়।
এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল আলম চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আহত আসাদুজ্জামান আসাদ ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন নিহতের ভাই সাঈদ। গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মারা যান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। কারণ খবির হাসান ও আসাদুজ্জামান আসাদের বাসা পাশাপাশি। পূর্ব কোনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ ঘটনায় আমরা চঞ্চল নামে একজনকে আটক করেছিলাম। পরে চঞ্চল, খবির হাসানসহ চার আসামি আদালত থেকে জামিন নেন। ঘটনার পরদিন খবির হাসানকে স্থানীয় জনতা গণপিটুনি দিয়ে অস্ত্রসহ পুলিশে সোপর্দ করে। বর্তমানে খবির হাসান পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পরিদর্শক আরও বলেন, আগে যে মামলাটি ছিল সেটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। তাদের পরিবারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
এসএএ/এমএ