মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট পুনর্গণনার দাবি

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছেন চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম বজলুল হক খান। এজন্য তিনি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে একটি মামলাও দায়ের করেছেন।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) ওই প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছেও একই দাবি জানিয়েছেন।
এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগে তিনি দাবি করেন, ভোটের আগে থেকেই মনোনয়নপত্র দাখিলে বাধা প্রদানসহ তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রার্থী হওয়ায় চক্রান্ত করে তাকে হারানো হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অর্থের দ্বারা গত ১৭ অক্টোবরের নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী গোলাম মহীউদ্দিনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ০২ অক্টোবর থেকে সম্পূর্ণ শঙ্কা ও প্রাণনাশের হুমকি-ধামকির মধ্যেও আমি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে থাকি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি যে, আমার প্রতিপক্ষ নির্বাচনে কারচুপি করার জন্য নির্বাচনের দিন বিদ্যুৎ ও সিসি ক্যামেরা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করেছেন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবগতির জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশনারসহ জেলা রিটানিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর ১৬ অক্টোবর লিখিত অভিযোগও করা হয়।
১৭ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ঘিওর উপজেলা ভোট কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা সম্পূর্ণ বন্ধ রেখে ভোটগ্রহণ করা হয়। এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করা হয়। দৌলতপুর উপজেলা ভোট কেন্দ্রে আমার প্রতিপক্ষের লোকজন ভোটারদের ভয় দেখিয়ে নিজেদের ব্যালটে ভোট দিতে বাধ্য করেন।
এছাড়া শিবালয় উপজেলা ভোট কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা দুপুর ১২টার পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেসময় একজন ভোটারের ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভোটার ও কয়েকজন প্রিজাইডিং অফিসারকে রিটানিং অফিসার (ডিসি) তার অফিসে ডেকে আনেন। এরপর বিকেল ৪টায় ওই কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) এক্সপার্ট দিয়ে পরীক্ষা করালেই প্রমাণ মিলবে। আমি নিশ্চিত এই ভোট কেন্দ্রে আমার ভোট প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
নির্বাচনের এসব অনিয়মের বিষয়ে রোববার (২০ নভেম্বর) নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে একটি মামলাও দায়ের করেন তিনি। যার মামলা নম্বর ০১/২০২২।
এসআর/কেএ