গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির দাবি

গৃহশ্রমিকদের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তি এবং আইএলও কনভেনশন ১৮৯ ও ১৯০ অনুসমর্থনের দাবি জানিয়েছেন ট্রেড ইউনিয়ন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২২ উপলক্ষে গৃহ শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গৃহকর্মে নিযুক্ত শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন, হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। সারাদেশ দেশব্যাপী গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষায় প্রণীত ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ বাস্তবায়ন না হওয়ায় দেশে একের পর এক গৃহ শ্রমিকের মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।
তারা আরও বলেন, বিচারহীনতার কারণে দোষীরা বার বার গৃহশ্রমিকদের উপর নির্যাতনের সাহস পায়। যদি এসব ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে সেই ভয়ে আর কেউ গৃহশ্রমিকদের নির্যাতনের সাহস দেখাবে না।
এ সময় বক্তারা আইএলও কনভেনশন-১৮৯ ও ১৯০ অনুসমর্থন করাসহ সারাদেশে গৃহশ্রমিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি—২০১৫’ বাস্তবায়ন, শ্রম আইনে গৃহশ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা, গৃহশ্রমিকদের মামলায় সরকারিভাবে আইনি সহায়তা প্রদান, সব গৃহ শ্রমিকের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা, নির্যাতনে নিহত শ্রমিক পরিবার ও আহত শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
গৃহ শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফায়েজ হোসেন, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার, গৃহ শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের সদস্য সচিব নাজমা ইয়াসমীন প্রমুখ।
এএসএস/এসকেডি