ষষ্ঠ ধাপের পৌর নির্বাচন নিয়ে ইসির প্রজ্ঞাপন জারি
ষষ্ঠ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের তিনটি বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিষয় তিনটির মধ্যে রয়েছে- সময়সূচি, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং আপিল কর্তৃপক্ষের নিয়োগ।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার (৮ মার্চ) ইসি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ১০(১) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ১১টি পৌরসভায় মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
ষষ্ঠ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার), মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১৯ মার্চ (শুক্রবার), প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ মার্চ (বুধবার) ও ভোটগ্রহণের তারিখ ১১ এপ্রিল (রোববার)। এ পৌরসভাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।
ষষ্ঠ ধাপে যে পৌরসভাগুলোয় ভোট হবে
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ, ঝালকাঠির ঝালকাঠি সদর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী, ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালীর কবিরহাট, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও যশোরের নওয়াপড়া (অভয়নগর)।
উল্লেখ্য, দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট হয় ১৬ জানুয়ারি। তৃতীয় ধাপে ৬২টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয় ৩০ জানুয়ারি। চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভার ভোট হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি ও পঞ্চম ধাপে ২৮ ফেব্রুয়ারি ৩১টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হয়।
আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে পৌরসভায় ভোট হয়।
এসআর/ওএফ
