ঢাকায় এসে বিপাকে বিদেশগামী রাসেল

খুলনা থেকে মা-বোনকে নিয়ে ঢাকায় এসেছেন সৌদিগামী মো. রাসেল সরকার। ঢাকায় এসে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
১২ ডিসেম্বর ভোরে তার ফ্লাইট, তবে ট্রাভেল এজেন্সির কাছে জমা তার পাসপোর্ট-টিকেট। ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ থাকায় ৯ ডিসেম্বর দুপুরের আগেই তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিজয়নগর এলাকার নাইটিঙ্গেল মোড়ে এসে তিনি পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টের সাথে কথা হয় রাসেল সরকারের।
• আরও পড়ুন : মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপও চেক করছে পুলিশ

তিনি বলেন, খুলনা থেকে আমি আমার মা এবং বোনকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি। কিন্তু এখানে এসে তো ভেতরে ঢুকতে পারছি না। পুলিশকে বারবার অনুরোধ করেছি কিন্তু কোনো রকমেই তারা আমাকে ঢুকতে দেয়নি। এখন আমি কী করব?
রাসেল সরকার বলেন, আমি চার বছর সৌদি আরব ছিলাম। দেশে আসার পর এখন আবারও চলে যাচ্ছি। ১২ ডিসেম্বর সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে আমার ফ্লাইট। ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিটও কাটা হয়ে গেছে। ট্রাভেল এজেন্সি আমাকে বলেছে যেহেতু ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ, তাদের অফিস সেদিন বন্ধ থাকবে তাই আজ দুপুরের আগেই যেন এসে কাগজপত্রগুলো নিয়ে যাই। আমার টিকিট-পাসপোর্ট সবকিছুই এজেন্সির কাছে।
তিনি আরও বলেন, বাড়ি থেকে পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি বাড়িতে আর ফিরব না বলে। তারা কিন্তু চাইলেই আমাকে ঢুকতে দিতে পারতো। এতগুলো ব্যাগ নিয়ে হয়তো এখন আমাকে আবার খুলনায় ফিরে যেতে হবে।
শুধু রাসেল সরকার নয়, পল্টন এলাকার বিভিন্ন অফিস, বাসাবাড়ির মানুষও পুলিশের ব্যারিকেডে বিপাকে পড়েছেন। তারা বলেন, ভোগান্তির কথা বলে বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দিলেও ব্যারিকেড দিয়ে উল্টো পুলিশই ভোগান্তি তৈরি করেছে।
এর আগে গতকাল প্রায় সারাদিনই নয়াপল্টন এলাকার প্রবেশমুখগুলোতে ব্যারিকেড দেওয়া ছিল। বিকেলের দিকে ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হলেও আজ (শুক্রবার) সকালে সেখানে আবারও ব্যারিকেড বসেছে; বন্ধ হয়েছে যান চলাচল।
• আরও পড়ুন : মির্জা ফখরুলের আটকের বিষয়ে যা বললেন তার স্ত্রী

নয়াপল্টন এলাকায় ঢুকতে গেলে পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। ওই এলাকায় বসবাসরতদের ঢুকতে দেওয়া হলেও তাদের মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপও চেক করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান জানান, ওপর থেকে নির্দেশনা আছে এই এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। তারপরও আমরা ওই এলাকায় বসবাসরত বা যৌক্তিক কারণে কেউ এলে তাকে আমরা ঢুকতে দিচ্ছি। এক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যরা কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে চেক করছে।
টিআই/এনএফ