ট্রাভেল মার্কেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি

প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বৈশ্বিক প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনলাইনে ভ্রমণ চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ট্রাভেল মার্কেটে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। নতুন এ ধারার সঠিক এবং সুস্থ বিকাশের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নীতিগত সমর্থন এবং কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে ‘ভ্রমণ ও প্রযুক্তি : বাংলাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির উত্থান’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন।
সেমিনারে দুটি মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপিত হয় - বাংলাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির উত্থান শীর্ষক মূলপ্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন বাংলাদশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, ভ্রমণ ও প্রযুক্তি শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী টিনা জাবিন।
ওয়াহিদুল আলম জানান, বাংলাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির আবির্ভাব ২০১৭ সালে হলেও বর্তমানে ৫০টির অধিক এ জাতীয় এজেন্সি সক্রিয় রয়েছে। বর্তমানে অনলাইন এই ট্রাভেল এজেন্সিগুলো শুধুমাত্র টিকিট বুকিং সেবাই দিচ্ছে না, পাশাপাশি তাদের অন্যান্য সেবাও রয়েছে যেমন হোটেল বুকিং, ভিসা প্রসেসিং ইত্যাদি।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের ১৬ কোটি ৪৫ লাখ জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশই ইন্টারনেট সেবার আওতায় এসেছে। দেশের ই-কমার্স মার্কেটের পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার, দেশে প্রতি মাসে ব্যাংক ট্রান্সফারের সংখ্যা প্রায় ১৯ লাখ, দৈনিক কার্ড ট্রানজেকশনের সংখ্যা ৬৮৫,০০০, দৈনিক অনলাইন অর্ডারের সংখ্যা ৪০ হাজার, বাৎসরিক ডিজিটাল পেমেন্টের পরিমাণ ৯৭.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, প্রতিদিন মোবাইল ফোনে আর্থিক লেনদেনের সংখ্যা ৯৫ লাখ এবং এর পরিমাণ ১৭৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ওয়াহিদুল আলমের মতে, এমন একটি অনুকূল পরিবেশে বাংলাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির বিকাশ দ্রুত গতিতেই ঘটবে।
দুটি সেশনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রিজওয়ান রহমান, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের সভাপতি মনসুর আহমেদ কালাম, হজ্জ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এম. শাহাদাত হোসেন তাসলিম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের সভাপতি আলমাস কবীর, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শমী কায়সার প্রমুখ।
সেমিনারে দুটি প্যানেল ডিসকাশনেরও আয়োজন করা হয়, যেখানে আলোচক হিসেবে এয়ারলাইন্স, জিডিএস কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অ্যাভিয়েশন এবং ভ্রমণ বিষয়ক প্রকাশনা দা বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত এই সেমিনারে সহায়তা করে সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইনোগ্লোব, জিডিএস কোম্পানি - স্যাবার, অ্যামাডিয়াস এবং গ্যালিলিও।
এআর/এসএসএইচ