‘রেকর্ড রুমের দায়িত্ব নিতে আগে তদবির করত, এখন আগ্রহ নেই’

‘ভূমি মন্ত্রণালয়কে নিয়ে বর্তমানে সমাজে ইতিবাচক কথা হচ্ছে’ বলে দাবি করে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘আগে রেকর্ড রুমের দায়িত্ব নেয়ার জন্য মানুষ তদবির করত। এখন সেখানে বলছে, স্যার আমাকে এখান (রেকর্ড রুম) থেকে সরিয়ে দেন। সিস্টেম ডেভেলপ হয়ে গেছে; তার আর ওখানে (রেকর্ড রুম) চার্ম (আগ্রহ) নেই।’
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ২১ জেলায় ডিজিটাল রেকর্ড রুমের নাগরিক সেবা ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার সময় আমি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলাম। তখন একটা কথা বলেছিলাম, ব্যর্থতায় দায়ভার নিয়ে আমি এই মন্ত্রণালয় থেকে যেতে চাই না। আমি এসেছি কাজ করতে। আমি চাইব আমার আমলে ভূমি মন্ত্রণালয় এমন জায়গায় পৌঁছাবে যখন ভূমি মন্ত্রণালয়কে নিয়ে পুরো জাতি গর্ব অনুভব করবে। ডিজিলাইজেশনের মাধ্যমেই এটা সম্ভব, এটা সেবা নির্ভর একটা মন্ত্রণালয়।
ভূমি মন্ত্রণালয় নিয়ে দেশে-বিদেশে একটা নেতিবাচক ধারণা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, কতটুকু কী অর্জন করেছি জানি না, কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয় নিয়ে সোসাইটিতে কথা হচ্ছে। ভূমিকর ডিজিটাইজেশেনের বিষয়ে যে সাড়া পেয়েছি তা আমরা আশা করিনি। মানুষ ঘরে বসে এই সেবা চাইছে। আমরা আমাদের কর্মকাণ্ডে, উই আর ভেরি মাচ ট্র্যাক।
ভূমি মন্ত্রণালয় এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমরা কথা নয়, কাজে বিশ্বাসী। আমি এমন কোন কিছু করতে চাই না, যা দিয়ে পাবলিসিটি হয়। সুন্দর সুন্দর কথা বললাম, কিন্তু বাস্তবে এর সঙ্গে কোন মিল নেই। এই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে আমার ২ বছর হতে যাচ্ছে। এই ২ বছরে কথা ও কাজের সাথে মিল নেই এমন কোন মুহূর্ত আছে কিনা আমি জানি না।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে অনেক চমক দিয়েছে, সামনে ইনশাআল্লাহ আরও চমক দেবে। মানুষের যে আস্থার ঠিকানা, সেটা প্রোপারলি স্ট্যাবলিশ করতে চাই। আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলাম, আমার মন্ত্রণালয়কে শীর্ষ পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়ে আসতে চাই। আলহামদুলিল্লাহ, ২০২০ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় শুধু টপ ফাইভ না, টপ থ্রির মধ্যে আছে। ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, জাতীয় ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ড- এটা আসলে একটা মাইলস্টোন (অর্জন)।’
এসএইচআর/এফআর