ঢাকায় তুরস্কের চ্যান্সেরি ভবনের উদ্বোধন, সাভাসগলুর ঢাকা ত্যাগ

ঢাকার বারিধারায় নির্মিত তুরস্কের চ্যান্সেরি ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। তুরস্কের আঙ্কারায় নির্মিত বাংলাদেশের চ্যান্সেরি ভবনের উদ্বোধনের তিনমাস পর ঢাকায় এ ভবনের উদ্বোধন করা হলো।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিত সাভাসগলু ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ ভবনের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান উপস্থিত ছিলেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাভাসগলু দু’দিনের সফরে সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকায় আসেন। মূলত ঢাকার সঙ্গে আঙ্কারার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ তুরস্কের চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করতে ঢাকায় আসেন তিনি।
সফরের প্রথম কর্মসূচিতে সাভাসগলু ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘরে সম্মান জানান। সেখান থেকে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে যান। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঢাকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সামগ্রী বিক্রি করতে ইচ্ছুক আঙ্কারা। একইসঙ্গে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায় তুরস্ক।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আগামী বছর বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও আভাস দেন সাভাসগলু।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন আঙ্কারায় নির্মিত বাংলাদেশের চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করতে সেপ্টেম্বরে তুরস্ক যান। সে সময় তুরস্কের চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধনের সময় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানান মোমেন।
ঢাকা ছেড়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী-
এদিকে দু’দিনের সফর শেষে বুধবার সন্ধ্যার আগে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিত সাভাসগলু ঢাকা ছেড়ে তুর্কির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যার আগে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে বিদায় জানান।’
এনআই/এফআর