আমাদের মনিটরিংয়ে যথেষ্ট ঘাটতি আছে : মেয়র আতিকুল

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশা নিয়ন্ত্রণে সামগ্রিকভাবে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। এ কারণেই মশার উপদ্রব বেড়েছে। আমাদের মনিটরিংয়ে যথেষ্ট ঘাটতি আছে। এখনো সনাতনী পদ্ধতিতে মনিটরিং হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের কাউন্সিলর যারা আছে তাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে। সনাতনী পদ্ধতিতে মনিটরিং করলে চলবে না। সিটি করপোরেশনের মশক কর্মী, মশক সুপারভাইজার, যারা দেখাশোনা করেন তাদেরও ঘাটতি আছে।
শনিবার (১৩ মার্চ) ডিএনসিসির ভাটারা ও সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল ৯ ও ১০) চলমান সমন্বিত মশক নিধন অভিযান (ক্রাশ প্রোগ্রাম) পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। পরে তিনি ভাটারা ১০০ ফুট রাস্তা, বালুর মাঠ, ডুমনি এলাকাও পরিদর্শন করেন।
মেয়র আতিকুল বলেন, আমরা বুঝতে পেরেছি মশক নিধন অভিযানটিকে আধুনিকায়ন করতে হবে। জনসাধারণকে আমাদের সচেতন করতে হবে। সচেতনতার অনেক ঘাটতি আছে। এছাড়া নতুনভাবে ওষুধ প্রয়োগ করতে আমরা কীটতত্ত্ববিদদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মশার অভিযান করা হবে।
তিনি বলেন, মশা একদিন বা দুই দিনে হয়নি। আমরা কিন্তু কেউ ঘরে বসে নেই। সারাদিন মাঠ পর্যায়ে সবার সঙ্গে আছি। মাঠপর্যায়ে এসে মশক নিধন প্রক্রিয়া যে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে হবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা শতভাগ চেষ্টা করছি।
মেয়র বলেন, কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের কঠিন থেকে কঠিনতর হতে হবে। আমাদের কর্মীরা ঠিকমতো কাজ করছেন কি না, কাউন্সিলররা তা মনিটরিং করবেন। কোথায় কোথায় ডোবা আছে, কাউন্সিলরদের তালিকা করতে হবে। আমি একটি জিনিস দেখে অবাক হয়ে গেছি যে, কাউন্সিলরের কার্যালয়ের পেছনেই ডোবা। কাউন্সিলরদের বলব, নিজ নিজ এলাকা ম্যাপিং করার জন্য। ডোবার বিরুদ্ধেও অভিযান করা হবে।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ঢালী, মো. শফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিন ইতি প্রমুখ।
এএসএস/আরএইচ