সড়ক পরিবহন আইনে নতুন অধ্যায় সংযোজনের দাবি

সড়ককে অধিকতর নিরাপদ করার জন্য সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮তে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘সেইফ সিস্টেমস এপ্রোচ’ পদ্ধতিতে একটি পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করার দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক পরিবহন বিধিমালা জারির বিষয়টি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হলেও এতে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। আমাদের বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা ২০২২ মূলত সড়ক পরিবহন আইন এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা সংক্রান্ত। এই আইন ও বিধিমালা সড়ক নিরাপত্তা বিধিমালা নিশ্চিতকরণে যথেষ্ট নয়। কারণ, জাতিসংঘের সেকেন্ড ডিকেড অব অ্যাকশন ফর রোড সেইফটি ২০২১-২০৩০ এ বর্ণিত পাঁচটি পিলার (নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ মোটরযান, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী এবং দুর্ঘটনা পরবর্তী ব্যবস্থাপনা) এবং বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বর্ণিত পাঁচটি পিলারের আলোকে পরিবহন আইন ২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ প্রণীত করা হয়নি। তাই আমরা দাবি জানাচ্ছি দ্রুততার সঙ্গে পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করার।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর সিকদার, বাংলাদেশ এনজিও নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান, ইম্প্রেসিভ কমিউনিকেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খন্দকার হাসিবুজ্জামান প্রমুখ।
এমএইচএন/এনএফ