তাজুল ইসলামের সঙ্গে নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক জাপান সফরের কথা উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। জাপান ও বাংলাদেশ পারস্পরিক সুবিধার্থে টেকনোলজি, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়ে আদান-প্রদান করতে পারে, যাতে উভয় দেশ লাভবান হতে পারে।
এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে জাপানের সহায়তায় চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। তারা উভয়ে উন্নয়নমূলক কাজে এই সম্পৃক্ততা আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। জাপানের বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপেক্ষায় আছে বলেও জানান তিনি।
জাপানের নারুতো শহর এবং বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ শহরের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে উল্লেখ করে ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, এই দুটি শহরের মধ্যে সিটি টু সিটি পার্টনারশিপ সহযোগিতা চুক্তি হতে পারে। এতে দুটি শহরই লাভবান হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কিমিনোরি বলেন, জাপান বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে আগ্রহী। এসময় নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে স্পেশাল ইকোনমিক জোনের জন্য সংযুক্ত সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে তাতে জাপানি বিনিয়োগ বাড়বে বলেও জানান তিনি।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে তাতে জাপানের আরও বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়নসহ নানা ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে জাতি হিসেবে বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচয় আজ বিশ্বে উজ্জ্বল।
তিনি আরও বলেন, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের মতো বৃহৎ প্রকল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ২০২৩ সালে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫১তম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই বন্ধু দেশ হিসেবে জাপান বাংলাদেশের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় ও স্থানীয় উন্নয়নে জাপান বন্ধুদেশ হিসাবে আরও সম্পৃক্ত হতে চায়, যাতে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।
এসএইচআর/কেএ