মোদির সফরে উন্মোচন করা হবে দুটি স্মারক ডাকটিকিট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আগামী ২৬ মার্চ দুইদিনের সফরে ঢাকা আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এই সফরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে পৃথক দুইটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবে ঢাকা ও নয়াদিল্লি।
সোমবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পাঁচ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ঢাকা সফর উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দুই দিনের সফরে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকায় আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরের প্রথম দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। এরপর তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
একইদিন বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে তিনি বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন।
মোমেন জানান, সফরের দ্বিতীয় দিন ২৭ মার্চ মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তাছাড়া তিনি সাতক্ষীরা এবং গোপালগঞ্জে দুইটি মন্দির পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মতবিনিময় করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ওইদিন বিকেলে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক ছাড়াও প্রতিনিধি পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৈঠকের শুরুতে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
মোমেন বলেন, সমঝোতা স্মারক এবং প্রকল্প উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
দাওয়াত পায়নি মিয়ানমার
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা দাওয়াত পেলেও দেওয়া হয়নি প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারকে। পাশাপাশি পাকিস্তানের সরকার প্রধানের দাওয়াত পাওয়ার বিষয়টিও স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মিয়ানমারকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা আসতে পারবেন না। আর মিয়ানমারের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মিয়ানমারের সরকার প্রধান এখন কে, সেটাই বোঝা মুশকিল। সে কারণে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’
এনআই/জেডএস