করোনার টিকা: ৪৫ লাখে ৮৯৪ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর এ পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৪৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫৪ জন। তাদের মধ্যে মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৮৯৪ জনের। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে সামান্য জ্বর, টিকা দেওয়া স্থান লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া দেখা গেছে।
সোমবার (১৫ মার্চ) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন ৮৭ হাজার ৮৬০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫০ হাজার ২৪৪ জন এবং নারী ৩৭ হাজার ৬১৬ জন। টিকা নেওয়ার পর মাত্র পাঁচজনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পাশাপাশি টিকার জন্য মোট নিবন্ধন করেছেন ৫৭ লাখ ৭০ হাজার ১৯৮ জন।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন ৮৪ হাজার ৮৬০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫০ হাজার ২৪৪ জন এবং নারী ৩৭ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ হাজার ১১৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ হাজার ৮৪৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ হাজার ৬৫৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ হাজার ৯১৫ জন, রংপুর বিভাগে ৫ হাজার ৬৩৬ জন, খুলনা বিভাগে ৫ হাজার ১৫৭ জন, বরিশাল বিভাগে ১ হাজার ৩২৫ জন ও সিলেট বিভাগে ৯৬৮ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।
করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।
৭ জানুয়ারির পর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ৫৭১ জনে। গত ৭ জানুয়ারি করোনায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে ভাইরাসটিতে ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জনের বেশি মৃত্যু হয়নি দেশে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৭৩ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫৯ হাজার ১৬৮ জনে। ১৫ ডিসেম্বরের পর এক দিনে এত বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হননি। সেদিন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক হাজার ৮৭৭ জন। এরপরই কমতে থাকে সংক্রমণ। কমতে কমতে নেমে যায় ৩০০-এর নিচে।
টিআই/জেডএস