সমাবর্তনজটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগের হামলা-সংঘাতের রেশ না কাটতেই চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজসহ অন্তত তিনটি প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হুমকি-ধমকি দেওয়াসহ অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এর পাশাপাশি আজকের জাতীয় দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো একবার দেখে আসি—
কালের কণ্ঠ
ছাত্রলীগের হুমকি-ধমকি থেকে বাদ যাচ্ছেন না শিক্ষকরাও
চট্টগ্রামের সরকারি সিটি কলেজে ছাত্রলীগের আন্দোলনের মুখে কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাঁদের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। ৭ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনে এসব ঘটনা ঘটে। দুই শিক্ষক থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়া বাঁধে গত ২ ফেব্রুয়ারি দাবি করা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আহত করে স্থানীয় ‘আশিক বাহিনী’র সদস্যরা।
কালের কণ্ঠ
পল্লবীর মানুষ জিম্মি পাঁচ গ্রুপের কাছে
সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থার করা প্রতিবেদনে মিরপুরের পল্লবী এলাকায় পাঁচটি গ্রুপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজন বলেছে, এই সংখ্যা আরও বেশি। ১৭ বর্গকিলোমিটারের পল্লবী থানা এলাকায় বসবাস করে তিন লাখ ৬৪ হাজার সাধারণ মানুষ। এই মানুষগুলো জিম্মি এসব গ্রুপের কাছে।
আরও পড়ুন : বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কেন উন্নত হচ্ছে না?
সংবাদপত্রে নাম ও ছবি প্রকাশের বিষয়ে অনুমতি চেয়ে ফোন করলে ফুলপরী খাতুন বললেন, ‘নির্দ্বিধায় করতে পারেন।’ ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নেত্রীদের নামে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সাহস কীভাবে পেলেন, এমন প্রশ্ন করা হলে মাত্র ১০ দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করা এই ছাত্রীর উত্তর, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। তাই কোনো অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করব না।’
প্রথম আলো
আমার সঙ্গে যা হয়েছে, সব তদন্ত কমিটিকে বলেছি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী
ফুলপরী কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে যা যা হয়েছে, সব তদন্ত কমিটির কাছে বলেছি। তাঁরা খুব মনোযোগের সঙ্গে আমার বক্তব্য শুনেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি, আমার সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে, তার বিচার পাব। ক্যাম্পাসে আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। তদন্তের প্রয়োজনে আবার আসব।’
শিক্ষার গুণগত মান বিবেচনার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের অনুপাত প্রধান মাত্রা হিসেবে কাজ করে। শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধায় বিবেচনা করা যায় তাদের পেছনে করা খরচ হিসাব করে। সঙ্গে রয়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর হিসাব।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
শিক্ষার্থী প্রতি ব্যয়ে ব্যবধান আকাশ-পাতাল
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রকাশিত ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে শিক্ষকের অনুপাত ও শিক্ষার্থী প্রতি ব্যয়ের দিক থেকে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বিজ্ঞান, চিকিৎসা, প্রকৌশল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতি ব্যয় বেশি। ব্যয়ের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। খরচের দিক থেকে রয়েছে বিস্তর ব্যবধান। শিক্ষার্থী প্রতি সর্বোচ্চ প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচের দেশেই সর্বনিম্ন খরচ রয়েছে ৭৪৩ টাকা।
রাজনীতিতে চলছে রাজপথ দখলের লড়াই। শক্তির মহড়া দেখাতে ব্যস্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। একই দিনে দুদলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ।
যুগান্তর
মহানগরে রাজনৈতিক উত্তাপ
কয়েক মাস ধরেই চলছে এ পরিস্থিতি। যেখানে বিএনপি, সেখানেই আওয়ামী লীগ-এ যেন স্থায়ী সংস্কৃতিতে রূপ নিয়েছে। সর্বশেষ শনিবার দেশের মহানগরগুলোয় কর্মসূচি পালন করে দুদল। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে।
আরও পড়ুন >>> আমার গ্রাম, আমার শহর
সরকার কেন ব্যবসা করবে-হরদম এ প্রশ্ন শোনা যায়। সরকার পলিসি করবে, যার আওতায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করবে। সেই ব্যবসা তদারকি করবে সরকার-এটাকে আদর্শ মনে করে সংশ্লিষ্ট মহল।
দেশ রূপান্তর
সবাই সবার পাওনাদার
সরকার ব্যবসা করতে চায় না। তারপরও সরকারকে কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হয়। সাধারণ মানুষ যেন বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি না হয়ে পড়ে সেজন্য কিছু প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে সরকার। কোনো বিশেষ সময়ে প্রয়োজনে যাতে হস্তক্ষেপ করা যায়, সেজন্যই এমন উদ্যোগ।
সমাবর্তনজটে পড়েছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সরকার নির্ধারিত শর্তাবলি পূরণ না করায় সমাবর্তনের অনুমতি পায়নি। আবার কেউ সমাবর্তন আয়োজন করতে চেয়েও নানা কারণে তা পারছে না।
সমকাল
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনজট
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিক্য ও করোনা মহামারির কারণে মূলত এই সমাবর্তনজটের সৃষ্টি হয়েছে। ২০২০ ও ২০২১ সালের মধ্যে প্রথম বছরের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমাবর্তনও এ সময় বন্ধ ছিল। তবে ২০২১ সালে মহামারির উন্নতি হলে অনলাইনে সমাবর্তন আয়োজন শুরু হয়। ২০২২ সাল থেকে ফের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শারীরিক উপস্থিতিতে সরাসরিই সমাবর্তন শুরু হয়েছে।
এছাড়া বিএনপির দলছুটদের নিয়ে এগোতে চায় ‘তৃণমূল বিএনপি’; ডায়রিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে মৃত্যু ১০৯; চাকরি প্রত্যাশীর সঙ্গে ইবি উপাচার্যের ফোনালাপ ফাঁস; পায়রার অর্থ পরিশোধেই অসুবিধায় রূপপুর এলে কী হবে?; ফসলের নিবিড়তার হারে শীর্ষে ফরিদপুর রাজবাড়ী ও ভোলা সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
