পেট্রাপোল-বেনাপোল আইসিপি পরিদর্শনে ভারতীয় হাই কমিশনার

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পেট্রাপোল-বেনাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) পরিদর্শন করেছেন ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। এসময় তিনি চেক পোস্টে নিয়োজিত দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পাশাপাশি সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য সহজীকরণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তিনি পেট্রাপোল-বেনাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট পরিদর্শনে যান।
এসময় হাই কমিশনার বলেন, পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রবেশদ্বার। যেখানে স্থল-ভিত্তিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ৭০ শতাংশেরও বেশি এই স্থলবন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। যাত্রীদের চলাচলের ক্ষেত্রে পেট্রাপোল-বেনাপোল আইসিপির গুরুত্বের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং উদ্বোধন করা হয়েছে। যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান আন্তঃসীমান্ত চলাচলের চাহিদা পূরণের জন্য দ্বিতীয় একটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিংও নির্মাণাধীন রয়েছে। এছাড়া ভারত সরকারের সহায়তায় দ্বিতীয় একটি কার্গো টার্মিনাল গেট নির্মিত হতে যাচ্ছে। যা প্রতিদিনের আন্তঃসীমান্ত যানবাহনের যাতায়াতকে দ্বিগুণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হাই কমিশনার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা ও মানুষে-মানুষে বিনিময়ের প্রসারের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি সীমান্তে স্থলবন্দরগুলোর সংযোগ ও বাণিজ্য অবকাঠামো শক্তিশালী করতে উভয় পক্ষের অব্যাহত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী ও দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। বিগত পাঁচ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি গত তিন বছরে ধারাবাহিকভাবে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। যা ২০২১-২২ সালে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছায়। বৈচিত্র্যময় বাজার নিয়ে ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সংযোগ এবং বাণিজ্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব ও দুই দেশের জনগণের পরস্পরের সঙ্গে জড়িত থাকার যৌথ প্রত্যয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত।
কেএ
