মুরগির চেয়ে মাছেই স্বস্তি, বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৫ এএম


বাজারে মুরগির চড়া দামে স্থিতিশীল থাকা মাছেই স্বস্তি বলে মনে করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার-লেয়ার মুরগির দাম বেশি থাকায় ক্রেতারা ঘুরেফিরে মাছের বাজারেই ছুটছেন। দাম কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় বিক্রি ভালো হওয়ায় খুশি মাছ বিক্রেতারাও।

শুক্রবার (৩ মার্চ) রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব কিছুই দিনদিন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ‘কম দামে’র দিকে ঝুঁকছে সাধারণ মানুষ।

মধ্যবাড্ডা মাছ বাজারের ব্যবসায়ী মো. সুমন মিয়া বলেন, অন্যান্য জিনিসের তুলনায় মাছের দামটাই একটু কম। বাকি সব কিছুরই অনেক দাম। ফার্মের মুরগি যদি ২৬০ টাকা কেজি হয়, আমার সুস্বাদু মলা মাছ ৩০০ টাকা কেজি। লেয়ার, দেশি মুরগির দাম তো আরও বেশি।

dhakapost

দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গুলসা মাছ বিক্রি করছি ৬০০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৩০০ টাকা কেজি। এছাড়াও বাজারে কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। এছাড়াও শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঙাস ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ মাছ ২৬০ টাকা।

এদিকে, নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় এই মাছ কিছুটা বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ বিক্রেতা সাইদুর রহমান বলেন, আগের তুলনায় ইলিশের দামটা এখন একটু বেশি। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ। দুইমাস বন্ধ থাকাকালীন সময়ে দামটা একটু বাড়তিই থাকবে। নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলে আবার দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।

বাজারে গরু-মুরগির মাংসের যেই দাম, মাছ বিক্রেতা সাইদুর রহমানও মনে করেন সেই তুলনায় মাছের বাজারে বেশ স্বস্তি। তিনি বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা। এই তুলনায় মাছের দাম অনেক কম।

মাছ কিনতে আসা ফারুক মিয়া বলেন, অন্যান্য জিনিসের তুলনায় মাছের বাজার খুব বেশি বাড়েনি, আগের মতোই। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুরই দাম বাড়তি, মানুষ এখন দিশেহারা। সামনে রোজা আসছে, এভাবে যদি দাম বাড়তেই থাকে, আমাদের জন্য বেঁচে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে যাবে।

টিআই/এসএম

Link copied