বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো জনতার ঢল

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো জনতার ঢল নেমেছে। বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।
দিনের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে সর্ব প্রথম শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই মহান নেতার সম্মানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এরপর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যোগ দিতে দুইদিনের সফরে ঢাকায় আসা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মেদ সোলিহ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ১০টার পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে স্ত্রী ফাজনা আহমেদও ছিলেন।
পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে সর্বসাধারণের জন্য প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সম্মুখ অংশ এবং ৩২ নম্বর সড়কে হাজারো জনতার ঢল নামে।
জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীর প্রজন্ম সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন-চরিত্র সাধারণ মানুষকে আরও উজ্জীবিত করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা দর্শনার্থীরা।
শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর ইশারায় পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তির স্বাদ পেয়েছিল বাংলার মানুষ। বঙ্গবন্ধু আজ নেই। তারপরও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে বঙ্গবন্ধুর জীবন-চরিত্র নিরন্তর প্রেরণা যোগাচ্ছে। যেকোনো সংকট আর সংগ্রামে সাহস, শক্তি ও প্রেরণার উৎস আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আদর্শ নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও সচিব কেএম রুহুল আমীন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতা। ছোটবেলা সময় থেকেই তার চরিত্রে ছিলো যোগ্য নেতৃত্বের গুণাবলি। পরবর্তী সময়ে নানা উত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ছাত্র নেতায় পরিণত হোন তিনি। তখন থেকেই বেকারত্ব ও জীবনযাত্রার নিম্নমানের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন।
এমএইচএস