নৃত্যশিল্পে রাষ্ট্রীয় পদক ধারাবাহিকরণের কামনা

প্রতিবছর শিল্পকলার সব শাখায় বিশিষ্ট গুণী শিল্পীদের একুশে এবং স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে সম্মানিত করা হলেও নৃত্যকলার ক্ষেত্রে পদক দেওয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সদস্যরা।
রোববার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থার নেতারা।
বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মীনু হক বলেন, ষোলকলার শ্রেষ্ঠকলা হিসেবে আখ্যায়িত নৃত্যকলা। প্রাচীনতম শিল্পটি বাংলাদেশের শিল্পীরা যে যার আঙিনা থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে চর্চায় নিবেদিত রয়েছেন। নৃত্যের মাধ্যমে তারা দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন। কিন্তু প্রতিবছর শিল্পকলার সব শাখায় বিশিষ্ট গুণী শিল্পীদের একুশে এবং স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে সম্মানিত করা হলেও নৃত্যকলার বেলায় পদক দেওয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, চার বছরের বিরতি দিয়েও একুশে পদক দেওয়ার নজির আছে। স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে মাত্র দুইবার। সংস্কৃতিবান্ধব বর্তমান সরকারের কাছ থেকে নৃত্যশিল্প এবং নৃত্যশিল্পীরা প্রতিনিয়ত যে সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রীয় পদক প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে নৃত্যশিল্পী, নৃত্যজন, নৃত্যপ্রেমীরা মর্মাহত। তাই কোনো রাষ্ট্রীয় পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে যেন নৃত্যশিল্পকে গুরুত্বসহকারে সহৃদয় বিবেচনার মধ্যে রাখা হয়।
সংগঠনের গবেষণা সম্পাদক নীগার চৌধুরী বলেন, আমরা যদি অনুপ্রাণিত না হই, সম্মানিত না হই তাহলে আমরা হতাশ হয়ে যাব। একজন শিল্পীর কাছে পুরষ্কার মুখ্য বিষয় না। স্বীকৃতি ও সম্মান দেওয়াটাই হচ্ছে মুখ্য বিষয়।
সংবাদ সম্মেলন এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার কোষাধ্যক্ষ ফারহানা চৌধুরী বেবী, নৃত্যশিল্পী সোহেল রহমান, নীপা খন্দকার, আমানুল হক প্রমুখ।
ওএফএ/এফকে