রাজধানীতে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর মুগদা থানার দক্ষিণ মান্ডা থেকে আশা মনি (২৫) নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ মার্চ) রাত ১১টায় নিজ কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মুগদা থানা পুলিশ।
নিহতের স্বামী মো. মামুনুর রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি আর আমার শ্বশুর বাসায় বসে সন্ধ্যার পর গল্প করছিলাম। তখনও তার কক্ষের দরজা বন্ধ ছিল। শ্বশুর বলল, থাক এমনিতেই খুলবে। আর না খুললে আমাকে ডাক দিও।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী হঠাৎ হঠাৎ রেগে যায়। তখন দরজা লাগিয়ে নিজ কক্ষে বসে থাকে। আবার নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যায়। এ কারণে আমরা ডাকাডাকি করিনি। পরে আমি মেয়েকে প্রাইভেট থেকে আনতে যাই। তখন শ্যালিকা ও মামাতো শ্যালিকা দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ফেলে। তখন তারা কক্ষে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে তাকে (স্ত্রী) ঝুলতে দেখে। খবর পেয়ে আমরা সবাই দ্রুত বাসায় এসে পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
মামুনুর রশীদ বলেন, আমার সঙ্গে তার ঝগড়া-কথা কাটাকাটি কোনো কিছুই হয়নি। আমার এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে, তারা এতিম হয়ে গেল।
নিহতের বাবা লোকমান জানান, আমার মেয়ে খুব জেদি ছিল। সামান্য কিছু হলেই দরজা লাগিয়ে শুয়ে থাকত। আমি ও জামাই বসে কথা বার্তা বলে যাওয়ার আগে দেখলাম দরজা লাগান। জামাইকে বললাম পরে নিজে নিজেই খুলবে। রাত তখন ৯টা বাজে। আমরা সবাই আসলাম, পুলিশও আসল। পরে গভীর রাতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়।
নিহত আশা মনি দক্ষিণ মান্ডার পেয়ার আলীর গলিতে স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকত। নিহতের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি থানার চামি এলাকায়।
মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নূরুল আমিন বলেন, আমরা রাত সাড়ে ১০টায় খবর পাই। পরে গিয়ে দেখি মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। মরদেহ নামিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে পাঠাই। আমরা নিহতের স্বামী ও বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কোনো কারণ জানা যায়নি।
ঢামেক/এসএসএইচ