এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টের নামে কেউ অর্থ চাইলে জানান: ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিমানবন্দরের ‘সন্দেহভাজন’ যাত্রীদের অফলোড সিল দেওয়া ও এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে পরবর্তীতে সেই সিল মুছে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টকে নিছক প্রতারণা বলেছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইমিগ্রেশন পুলিশ ইউনিট।
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। বিদেশ গমনেচ্ছু যাত্রীদের সতর্কবার্তা হিসেবে পোস্ট বলা হয়েছে, দয়া করে এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্ট নামে প্রতারণার ফাঁদে পা দেবেন না। এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টের নামে কেউ অর্থ চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার- ০১৩২০০০৫১১১, ইমিগ্রেশন বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ০১৩২০০০৫১০২ এবং ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ০১৩২০০০৫০৩৫, ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) ০১৩২০০০৫০০৬ নম্বরে ফোন করে জানানোর অনুরোধ করা হলো। এ ছাড়াও এ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশ (www.immi.gov.bd ), বাংলাদেশ পুলিশের (www.police.gov.bd) ওয়েবসাইটে এবং বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজে জানানোর অনুরোধ করা হলো।
সম্প্রতি ঢাকা পোস্টে ‘টাকায় অফলোড সিলও মুছে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে অফলোড সিল দেওয়ার পরও দালালদের মাধ্যমে টাকা দিয়ে সেই সিল মুছে কয়েকজনের সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে।
ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার (প্রশাসন) নুর আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সংবাদটি প্রকাশের পর পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। এছাড়াও ইমিগ্রেশন পুলিশের এই কর্মকর্তা প্রতিবেদনটির বিষয়ে ঢাকা পোস্টের অফিসে ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের ব্যক্তিগত নম্বরে কল করে ‘এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টের’ বিষয়ে কিছু তথ্য চান।
এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা না হলেও বৃহস্পতিবার একে ‘প্রতারণা’ বলে উল্লেখ করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্ট ও বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগও পৃথক তদন্ত করছে।
এআর/এনএফ