চসিকের স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা পেলেন ৯ কৃতি ব্যক্তি
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় চট্টগ্রামের ৯ কৃতি ব্যক্তিকে ‘স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা পদক’ দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
রোববার (২৬ মার্চ) বিকেলে থিয়েটার ইনস্টিটিউটে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে এসব পদক তুলে দেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগ্রাম করে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। তার জন্ম না হলে এই জাতিকে এক করে যুদ্ধের ময়দানে নেওয়া যেতো না। বঙ্গবন্ধুর ডাকে দুর্বল বাঙালিরা একেকজন পরিণত হয়েছিল স্বাধীনতার লড়াকু সেনায়। আমি নিজেও ছাত্রাবস্থায় জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে গিয়েছিলাম, কেবল জাতির পিতার ডাকে। অনেক সহযোদ্ধার প্রাণ গেছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রেরণায় লড়াই চালিয়ে গেছি, এনেছি স্বাধীনতা। আজ পাকিস্তান দেউলিয়া আর বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেল।
পদক প্রদান প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, যে জাতি তার কৃতি সন্তানদের মূল্যায়ন করে না, সে জাতির মধ্যে কৃতি মানুষের জন্ম হয় না। এ চেতনা থেকে চট্টগ্রামের ৯ কৃতি ব্যক্তিকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে আরো ভালো কাজে উৎসাহিত করছি।
সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকায় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি নুরুল আলম চৌধুরী (মরণোত্তর), শিক্ষায় মোহাম্মদ হোসেন খান (মরণোত্তর), সাংস্কৃতিক-সঙ্গীতে অচিন্ত কুমার চক্রবর্তী (মরণোত্তর), ক্রীড়ায় আনোয়ার উল্লা খান (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধে মীর্জা আবু মনসুর, সমাজসেবায় রফিক আহামদ, বেতার ব্যক্তিত্ব ফজল হোসেন, সাংবাদিকতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী খান, অটিজম ও শিশু চিকিৎসায় ডা. মাহমুদ আহমদ চৌধুরী আরজু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আতাউল্লা চৌধুরী, মো. ইসমাইল, পুলক খাস্তগীর, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, রুমকি সেনগুপ্ত, চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন।
এমআর/জেডএস