বনানী কবরস্থানে সমাহিত হলেন এম এ হাসেম

সাবেক সাংসদ ও পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম এ হাসেমের মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বাদ জুমা ঢাকার গুলশান আজাদ মসজিদে তার দুটি জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম জানাজার নামাজে এম এ হাসেমের বড় ছেলে আজিজ আল কায়সার বাবার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চান। দেনা–পাওনার বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এ সময় তিনি বাবার আত্মার মাগফিরাতের জন্য সবার কাছে দোয়া চান। বেলা সোয়া দুইটায় দ্বিতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ফুল দিয়ে সাজানো একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মরদেহ বনানী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে দাফন করা হয়।
গত বুধবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান এম এ হাসেম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী সুলতানা হাসেম এবং পাঁচ ছেলে আজিজ আল কায়সার, আজিজ আল মাহমুদ, আজিজ আল মাসুদ, রুবেল আজিজ, শওকত আজিজসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
এম এ হাসেম ১৯৪৩ সালের ৩০ আগস্ট নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে তামাকের ব্যবসার মাধ্যমে তার ব্যবসায়ী জীবন শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি উৎপাদন ও পরিষেবা বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যেমন ফার্নিচার, বোর্ড, খাদ্য ও পানীয়, প্লাস্টিক, কাগজ, তুলা, সুতা, পাট, রিয়েল এস্টেট, টেক্সটাইল, শিপিং, অ্যাগ্রো, গার্মেন্টস, এরোমেরিন লজিস্টিকস ইত্যাদি গড়ে তোলেন।
প্রয়াত এই সাবেক সংসদ দেশের দুটি বেসরকারি ব্যাংক—সিটি ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি জনতা ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এছাড়াও নোয়াখালীর এম এ হাসেম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি।
এমএইচএস
