রাজধানীজুড়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের পোস্টার

রাজধানীজুড়ে সাঁটানো হয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের রাষ্ট্রবিরোধী পোস্টার। সোমবার (২২ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকাজুড়ে ‘খিলাফতবিহীন একশ বছর; আর কত!’ শিরোনামে এবং হিযবুত তাহরীরকে নুসরাহ (সামরিক সমর্থন) প্রদান করতে সামরিক অফিসারদের নিকট দাবি তোলার আহ্বান জানিয়ে দেওয়ালে সাঁটানো পোস্টার দেখা যায়।
জানা গেছে, উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ২০০৯ সালে ‘জঙ্গি সংগঠন’ উল্লেখ করে হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ করে সরকার। কিন্তু এখনও কৌশলে অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় পোস্টার ও প্রকাশ্য কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্বও জানান দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর ধানমন্ডি, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, গ্রিন রোড, সাইন্স-ল্যাবরেটরি, বাড্ডা, খিলক্ষেত, শ্যাওড়া এলাকায় হিযবুত তাহরীরের রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। তবে এসব পোস্টার কখন, কীভাবে, কে বা কারা লাগিয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।
শ্যাওড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভাসমান চা বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন,আমি প্রতিদিন এ এলাকায় ঘুরে চা বিক্রি করি। কত মানুষ কত ধরনের পোস্টার লাগায় তার হিসেব কে রাখে? তবে দিনের চেয়ে রাতে বেশি পোস্টার লাগানো হয়। সম্ভবত রাতের অন্ধকারে এসব পোস্টার লাগানো হয়েছে।
একই অবস্থা কলাবাগান, সায়েন্স-ল্যাবরেটরি এলাকায়ও। আশেপাশের মানুষজন অথবা স্থানীয় ব্যবসায়ী কেউ বলতে পারছেন না কে বা কারা কখন এসব পোস্টার লাগিয়েছে।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেকোনো ধরনের জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদী কার্যক্রম রুখতে আমাদের টিম রাতে ও দিনে কঠোর তৎপরতা চালাচ্ছে। তারপরও অপরাধীরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ ধরনের কার্যক্রম করার চেষ্টা করছে। এদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতে আমরা বদ্ধপরিকর।

জঙ্গিবাদ বন্ধ করতে ও জঙ্গিদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খাঁন। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, জঙ্গিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকালও ১১ বছর ৯ মাস সাজাপ্রাপ্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা প্রতি সপ্তাহে অভিযান পরিচালনা করছি। কোনোক্রমেই যেন কেউ অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি।
আরএইচটি/এসকেডি
