আগে থেকে নৌকার জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম : নাছির

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদের জয়ের ব্যাপারে শুরু থেকে নিশ্চিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম নাছির উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
আ. জ. ম নাছির উদ্দীন বলেন, এ জয় প্রত্যাশিত ছিল। নোমান আল মাহমুদ তৃণমূলের নেতা। প্রধানমন্ত্রী তাকে মূল্যায়ন করেছেন। নোমান আল মাহমুদের মনোনয়ন তৃণমূল কর্মীদের মাঝে এক ধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। নির্বাচন প্রচারণা শুরু থেকে আমরা নিশ্চিত ছিলাম আমাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। তবে নির্বাচনে আমাদের প্রত্যাশা ছিল আরও বেশি ভোটার উপস্থিত হবেন।
তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিত কম হওয়ার পেছনে যৌক্তিক কারণ আছে। ঈদের পরপরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটা লম্বা ছুটি ছিল। আজকে নির্বাচন উপলক্ষ্যে ছুটি ছিল। যারা বাড়ি গিয়েছেন তারা কিন্তু এখন পর্যন্ত ফিরে আসেননি। আরেকটা সমস্যা হচ্ছে বেশি গরম ছিল। তাছাড়া ভোটার হওয়ার সময় যারা এ ঠিকানা ব্যবহার করেছেন তাদের অনেকেই এলাকায় নেই। কিন্তু তারা ভোটার লিস্টে থেকে গেছেন। এটা আমরা ভোটার স্লিপ বিতরণ করতে গিয়ে লক্ষ্য করেছি।
নাছির বলেন, কোনো এলাকায় থেকে ৩০ থেকে ৪০ এমনকি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ভোটারদের হাদিস পাইনি। আবার সরকারি বন্ধ থাকলেও গার্মেন্টসগুলো খোলা ছিল। আর একটা কারণ হচ্ছে, একে পরিবারের তিন থেকে চারজন ভোটার থাকলেও তাদের কেন্দ্র ভিন্ন। কারও কারও ভোটকেন্দ্র দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে দূরে পড়েছে। সবগুলো যুক্তির কারণ মিলে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশে জিমনেশিয়ামে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ ভোট পেয়েছেন ৬৭ হাজার ২০৫টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৭ ভোট।
এমআর/এসকেডি