সমুদ্র সৈকতে বড় অক্ষরে লেখা হবে ‘কক্সবাজার’, ‘সেন্ট মার্টিন’

থাইল্যান্ডের পাতায়া সমুদ্র সৈকতের মতো বাংলাদেশের সৈকতগুলোতেও লেখা থাকবে জেলার নাম। বিদেশিরা ছবি তুলে প্রচার করবে এসব ছবি। এতে করে প্রসার ঘটবে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের।
বুধবার (৩ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রস্তাব ও প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও (অতিরিক্ত সচিব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের।
মুজিব’স বাংলাদেশ টেস্ট অব বাংলাদেশ নামের ফুড ফেস্টিভ্যাল নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রস্তাবটি দেন আরটিভির সাংবাদিক জুলহাস কবির।
এ বিষয়ে সিইও জাবের বলেন, ইতোমধ্যে কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিন সৈকতের পাশে বড় অক্ষরে ‘কক্সবাজার’ ও ‘সেন্ট মার্টিন’ লেখার ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। সেই ডিজাইন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে সব ধরনের অ্যাপ্রুভাল পেলে এগুলো বসানোর কাজ শুরু হবে। আশা করছি ২/৩ মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে। এই দুই সৈকতে এগুলো বসানোর পর কুয়াকাটা ও পর্যায়ক্রমে পর্যটনের সব জায়গায় এসব বসানো হবে।
দেশে পর্যটন বিষয়ক মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ কবে শেষ হবে? সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ট্যুরিজম মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছি। এ বছরের মে মাসের মধ্যেই তা সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত করার পাশাপাশি আমরা আগামী অর্থবছরে পাঁচটি প্ল্যান বাস্তবায়নেরও পরিকল্পনা করেছি। আমরা চাই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসুক।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (৪ মে) থেকে শুরু হতে যাওয়া মুজিব’স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল ‘টেস্ট অব বাংলাদেশ’র ঘোষণা দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্কে শুরু হবে এই উৎসব। চলবে ৬ মে পর্যন্ত। বিকেল ৫টায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। সমাপনী অনুষ্ঠানে থাকবেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এই আয়োজনে বাংলাদেশে নিযুক্ত
বিদেশি দূতাবাস, মিশন ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এআর/কেএ