প্রতিষ্ঠিত নির্বাচনী নিয়মেই বিএনপিকে ভোটে অংশ নিতে হবে

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি বলেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। অথচ তারা একসময় তত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ বলেছিল। সারাবিশ্বে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই এদেশে নির্বাচন হবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাজধানীর বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিামা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ ছিল বাংলাদেশ। তিনি জানতেন এই দেশের উন্নতিতে বাধা কোন জায়গায়। দেশের মানুষ দুঃখ-কষ্ট এবং মানবেতর জীবন যেন না কাটায়, তাই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পাকিস্তান আমলে মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ১২৫ ডলার, স্বাধীনতার পর যা বঙ্গবন্ধু উন্নীত করেছিলেন ২৭৭ ডলারে। স্বাধীনতার সময় ধর্মীয় বিভক্তি একটি বাধা ছিল। কিন্তু ধর্ম তো সংঘাত তৈরি করে না। একইসঙ্গে মিলেমিশে থাকাই প্রত্যেক ধর্মের মূলমন্ত্র। সেটাকেই বঙ্গবন্ধু উপজীব্য করেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার হার ছিল অনেক। ২০০১ সালে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হয়েছিল, তা যেন এদেশে আর না হয় সেক্ষেত্রে সবাইকে অবদান রাখতে হবে। জাতির পিতার আদর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। তার আমলেই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা স্থান পেয়েছেন। যেটা একসময় কল্পনা করা যেত না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাঙালির ঐতিহ্য হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা। হাজার বছর ধরে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে পাশাপাশি বসবাস করেছে। ধর্মীয় সহনশীলতায় বাংলাদেশ সমসাময়িক বিশ্বে উজ্জ্বল উদাহরণ।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বর্তমান সরকারের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাস্তবায়নের ফলে বুদ্ধ পূর্ণিমা এখন অন্যতম জাতীয় উৎসব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপসংঘরাজ ধর্মপ্রিয় মহাথের। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি, বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বড়ুয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক সুকুমার বড়ুয়াসহ আরও অনেকে।
ওএফএ/কেএ