আজমত উল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলের হুঁশিয়ারি

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৪ মে ২০২৩, ১১:৩০ পিএম


আজমত উল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলের হুঁশিয়ারি

ফাইল ছবি

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লাহকে প্রার্থিতা বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (০৪ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইসি ভবনে জরুরি বৈঠকে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা এ হুঁশিয়ারি দেন। 

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে জরুরি বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে আকস্মিক সভায় বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ সভায় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ অংশ নেন।

সভায় গাজীপুরের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রীকে এবং নৌকার প্রার্থীকে ‘শেষবারের মতো’ সতর্ক করার সিদ্ধান্ত হয়। বৃহস্পতিবারও প্রার্থীর প্রচারে অংশ নেওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

এরইমধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলকে সতর্ক করে রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরইমধ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দেয় কমিশন।

আচরণ বিধি লঙ্ঘন সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ০৫ এর পরিপন্থি। আচরণ বিধিমালার বিধি ৫ লঙ্ঘনের জন্য বিধি ৩২ অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।

নৌকার মেয়র প্রার্থীকে ৭ মে ইসিতে তলব করা হয়

এমন পরিস্থিতিতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ফের নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানের পক্ষে সভা করেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসে। আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে ব্যাপক তৎপরতার মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও প্রতিমন্ত্রীকে সামলাতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে বৈঠকে বসে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, দলীয় পর্যায়ে তাগাদা দেওয়ার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা চিঠি দেওয়ার পরও ইসির নির্দেশনা উপেক্ষিত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে ইসি। এ অবস্থায় জরিমানা, জেল, উভয়দণ্ড এবং সর্বোচ্চ প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের। পরবর্তী পদক্ষেপে যাওয়ার আগে শেষবারের মতো আরেকবার সতর্ক করা হচ্ছে। ছুটির দিনে সন্ধ্যায় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সার্বিক পরিস্থিতি আলোচনার করে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বলেন, সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার ও সচিবের উপস্থিতিতে গাজীপুরের বিষয়টি নিয়েই শুধু আজকের সভায় বেশ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়। সতর্ক করার পরও আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হলো সে বিষয়ে ব্যাখ্যা তো চাওয়া হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রীকেও দেওয়া চিঠিতে যা বলা হয়েছে

প্রতিমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ৪ মে প্রতিমন্ত্রী সভা করে মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়ার পরও মেয়র প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট চেয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিবের কাছে এ পত্র পাঠানো হয়েছে।

নৌকার প্রার্থীকে আগে এক দফা চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়। ৪ মে ফের আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি স্মরণ করে দিয়ে আজমত উল্লাহকে আবার চিঠি দেয় কমিশন। চিঠিতে বলা হয়, ৩০ এপ্রিল একদফা ব্যাখ্যা তলব করা হয়। তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী সভা করে আপনার পক্ষে ভোট চেয়েছে। এটা আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে। এ অবস্থায় ৭ মে এসে কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

এসআর/জেডএস

Link copied