বিএনএসিডব্লিউসির সভা
বন্দরে রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপত্তায় গুরুত্বারোপ

বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (বিএনএসিডব্লিউস) ২০তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ মে) সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাল্টিপারপাস হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, সাধারণ সভায় বিএনএসিডব্লিউসির চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সভাপতিত্ব করেন।
বিএনএসিডব্লিউসির সদস্যসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ৪৩ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় বাংলাদেশে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (সিডব্লিউসি) কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনএসিডব্লিউসির চলমান কাজগুলো পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও বাংলাদেশের রাসায়নিক নিরাপত্তা সুসংহতকরণ ও রাসায়নিক দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশে কেমিক্যাল ওয়ারফেয়ার এজেন্ট সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সাড়া দানের জন্য বাহিনীসমূহ কর্তৃক গঠিত কেমিক্যাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিমের (সিডিআরটি) কর্মপরিধি চূড়ান্তকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য আমদানি ও ব্যবহার আরও নিবিড়ভাবে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ও তফসিল বহির্ভূত স্বতন্ত্র জৈব রাসায়নিক দ্রব্যের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বিএনএসিডব্লিউসির সাথে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এছাড়াও তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য পরিবহনকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার ব্যাপারে সভার সদস্যরা একমত পোষণ করেন। এছাড়াও বিএনএসিডব্লিউসির পরিদর্শন দলের দিকনির্দেশনা অনুসারে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে রক্ষিত বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যের সুষ্ঠু নিষ্পত্তির বিষয়টি বিএনএসিডব্লিউসি কর্তৃক সভাকে অবহিত করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের মতো অন্যান্য বন্দরে রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সুসংহত করার ব্যাপারে বিএনএসিডব্লিউসির চেয়ারম্যান বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
এমএসি/এনএফ