মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত শিশুকে হত্যা : আসামি গ্রেপ্তার

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১০ মে ২০২৩, ০২:৪২ পিএম


মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত শিশুকে হত্যা : আসামি গ্রেপ্তার

গাইবান্ধায় ৩ বছরের শিশু রাফসান সামী অপহরণ ও মুক্তিপণ না পেয়ে গলাটিপে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মফিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

দীর্ঘ ৯ বছর পলাতক থাকার পর মঙ্গলবার (৯ মে) সন্ধ্যায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২ এর একটি দল।

র‌্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রোয়া গ্রামের মেজবাবুল ইসলামের ছেলে শিশু রাফসান সামীকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করার পর মুক্তিপণ দাবি করা হয়। 

মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা শিশু রাফসানকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে গুম করে। ঘটনার একদিন পর স্থানীয় থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। 

ওই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা মেজবাবুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেপ্তার মফিদুল ইসলামসহ আরো দুজনকে আসামি করে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

ওই মামলায় আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। হত্যা মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মফিদুল ইসলাম ৪৬ মাস কারাগারে থাকার পর নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে আদালত তাকে জামিন দেন। কিন্তু পরে আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক জীবন যাপন করেন। পলাতক থাকাবস্থায় আদালত মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেপ্তার মফিদুল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেন। সর্বশেষ তিনি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করেন। 

ওই তথ্যের ভিত্তিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মফিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

জেইউ/জেডএস

Link copied