চাকরি স্থায়ীকরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান বাপেক্স কর্মীরা

রাজস্ব খাতে নিয়োজিত শূন্যপদের বিপরীতে কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাপেক্সের অস্থায়ী কর্মচারীরা।
বুধবার (১৭ মে) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বাপেক্সে দক্ষ জনবলের প্রয়োজনীয়তা পূরণের লক্ষ্যে ১৪ বার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনও কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কর্মচারীদের স্থায়ী করার জন্য বারবার আবেদন করা হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। এমনকি ২০১৮ সালের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পত্র অনুযায়ী, জনবল নিয়োগে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তা সত্ত্বেও বাপেক্সের চুক্তিভিত্তিক এমডি মোহাম্মদ আলী, কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবুল ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন হায়দার সব কর্মচারীদের কনফারেন্স রুমে ডেকে নিয়ে মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, কোনো অস্থায়ী কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে না।
তারা আরও বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বাপেক্স কর্তৃপক্ষ আমাদের কর্মক্ষেত্রে আসতে নিষেধ করেছে। বর্তমান অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টে ৪৭৫ জনের ৩৪টি মামলা চলমান থাকলেও বাপেক্সের পরিচালনা পর্ষদকে মামলা সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হয়। টেকনিক্যাল পোস্টগুলোতে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দেওয়ার ফলে কাজের মান ও দক্ষতা দুটোই নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া এখান থেকে আমরা যে পরিমাণ মজুরি পাই তা দিয়ে পরিবারসহ জীবনধারণ করা অসম্ভব।
ঢাকার বাপেক্স অফিসের প্রশাসন বিভাগের কর্মী মো. বায়েজিদ বলেন, কোম্পানির কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের যথাযথভাবে নিয়মিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।
বাপেক্স কর্মীদের দাবিগুলো হলো:
১. বাপেক্সে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে।
২. কেপিআই অন্তর্ভুক্ত আউটসোর্সিং খাত সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে।
৩. ২০১১ সালের অর্গানোগ্রাম বাতিল করতে হবে।
৪. গ্যাস ক্ষেত্রে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীদের শারীরিক ক্ষতি হলে কোম্পানির দায়ভার বহন করতে হবে।
৫ রাজস্ব খাতের বিপরীতে আন্দোলনরত অস্থায়ী কর্মচারীদের কোনোভাবেই বদলি বা চাকরিচ্যুত করা যাবে না।
৬. স্থায়ী পদ বৃদ্ধি করতে হবে।
ওএফএ/কেএ