প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য 

Dhaka Post Desk

ঢাকা পোস্ট ডেস্ক

৩১ মে ২০২৩, ১১:২৬ এএম


প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য 

মোফাজ্জল সিন্ডিকেটে অসহায় ডিপিএইচই কর্মকর্তারা’— শিরোনামে গত ২৭ মার্চ ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মোফাজ্জল হোসেন।

ঢাকা পোস্ট কার্যালয়ে গত ২১ মে সশরীরে উপস্থিত হয়ে দেওয়া এ সংক্রান্ত এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘প্রকাশিত সংবাদটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা তথ্যে ভরা। সংবাদটি প্রচার করে আমাকে বা আমার সংগঠনকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।’

প্রতিবাদলিপিতে মোফাজ্জল হোসেন উল্লেখ করেন, প্রতিবেদনে তার ফেসবুক আইডি থেকে ছবি কাট-পেস্ট করে ব্যবহার  হয়েছে। ‘বিএনপি-জাতীয় পার্টির পাট চুকিয়ে ভাষা’ ব্যবহার তাকে চরমভাবে সম্মানহানি করা হয়েছে। ঘুষ, বদলি বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, পদোন্নতিসহ কর্মকর্তাদের ব্ল্যাক-মেইলের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো সম্পূর্ণ মনগড়া, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

সেখানে দাবি করা হয়, সামর্থ্যবানদের সহযোগিতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের পক্ষ থেকে বন্যার্ত ও শীতার্তদের মাঝে বিভিন্ন সহায়তাসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের দুর্গতদের জন্য ২৪০টি কম্বল দেওয়া হয়। মানব কল্যাণে কাজ করা কি অপরাধ?

প্রতিবেদনে এক নারীকে ‘শারীরিক আক্রমণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ’ আনা হয়। এ সংক্রান্ত গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়নি বলে প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগও অস্বীকার করা হয় প্রতিবাদলিপিতে।

মোফাজ্জল হোসেনের দাবি, কর্মচারীদের কল্যাণে কাজ করায় প্রতিপক্ষ তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা তথ্য রটাচ্ছে।

শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ব্যানার টানানো ও খোলা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি এসব ঘটনার সঠিকতা যাচাই করতে পারেনি বিধায় পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়া, প্রতিবেদনে উত্থাপিত সব অভিযোগ মিথ্যা, বানানো ও মনগড়া বলে দাবি করেন মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে অধিদপ্তরের কর্মকর্তার মন্তব্য নেওয়া হয়েছে। এতে যা বলা হয়েছে তার চেয়ে বেশি করে বানিয়ে লেখা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়, যা দুঃখজনক।‘

‘আমি এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি’— উল্লেখ করা হয় প্রতিবাদলিপিতে।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা কোনো বক্তব্য বা তথ্য প্রতিবেদকের মনগড়া নয়। প্রতিটি অভিযোগের সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবেদনে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মন্তব্য নেওয়া হয়েছে। এতে যা বলা হয়েছে তার চেয়ে বেশি বানিয়ে লেখা হয়েছে।’ এটি মোটেও সঠিক নয়। কারণ, প্রতিবেদনে যাদের বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে, সেগুলো প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

এমএআর/ 

 

Link copied