ঈদে ৭ দিন ফেরিতে পচনশীল পণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্য পরিবহন বন্ধ

আসন্ন কোরবানির ঈদে ফেরিতে পচনশীল পণ্য এবং কোরবানির পশু ছাড়া অন্যান্য পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এই সাতদিন হলো ঈদের আগের ৩ দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের ৩ দিন।
বুধবার (৩১ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল এবং যাত্রী নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগের তিন দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের তিন দিন পচনশীল পণ্য এবং কোরবানির পশু পারাপার অব্যাহত থাকবে। বাকি সবকিছু বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসির সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে।
তিনি বলেন, নৌপথ দিয়ে যেসব কোরবানির পশু আসে, সেগুলো অনেক সময় দেখা যায় যেসব হাটে ওঠানোর কথা, কিন্তু আরেক হাটে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার টাকা পয়সার বিষয়ও থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে যাতে টাকাটা লেনদেন করা হয়। জাল টাকার ক্ষেত্রেও তারা ব্যবস্থা করবেন মেশিন বসিয়ে। সবকিছু মিলিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে।
এবার নৌপথে কত সংখ্যক যাত্রী হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতবছর আমরা মনে করেছিলাম সদরঘাট খুব রিলাক্সে থাকবে, কিন্তু ঈদের তিন-চারদিন আগে আগের মতোই যাত্রী হয়েছে। পদ্মা সেতু হওয়ার পরেও বরিশাল জেলায় ৪০টি লঞ্চ ঘাটে আছে বলে বরিশালের ডিসি বললেন এবং তারা কিন্তু নৌ পথে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এখানে লাখ লাখ মানুষ, এটা নিরূপণ করা কঠিন ব্যাপার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিজিএমইএ, বিকেএমইএ-কে বলেছি তাদের ছুটিটা যেন ধারাবাহিকভাবে হয়। একসঙ্গে ছুটি দিলে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। তারাও আমাদের সঙ্গে একমত। তারা বলেছে, এটার ব্যবস্থা তারা করবে। ধারাবাহিকভাবে ছুটির ব্যবস্থা করবে।
যত যাত্রী হোক না কেন, আমাদের তো এটা সামাল দিতেই হবে। আমরা জানি এটা ক্যাপাসিটের বাইরে চলে যাবে, তারপরও আমাদের করতে হবে। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি।
পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেজন্য শিমুলিয়া রুটে মোটরসাইকেল পারাপারের কোনো ব্যবস্থা থাকছে না বলেও জানান তিনি।
এসএইচআর/জেডএস