‘জলবায়ু ফান্ডে কম সহায়তা দিচ্ছে শিল্পোন্নত দেশগুলো’

জলবায়ু ফান্ডে অনেক কম সহায়তা দিচ্ছে শিল্পোন্নত দেশগুলো। যা প্রতিশ্রুত অর্থের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
রোববার (১৮ জুন) জাতীয় সংসদে এমপি এম আব্দুল লতিফ এবং জাতীয় পার্টির এমপি মসিউর রহমান রাঙার লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ হলো বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন যা মানব সভ্যতার অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে ক্ষতিপূরণ বাবদ বাংলাদেশের পাওয়া অর্থ পর্যাপ্ত নয়। শিল্পোন্নত দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুত অর্থের তুলনায় অনেক কম আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। সেই সাথে অনুদানের তুলনায় ঋণের পরিমাণই বেশি এবং অভিযোজন খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ প্রশমন খাতে বরাদ্দ করা অর্থের তুলনায় কম।
তবে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান (বিসিসিএসএপি)তে উল্লেখিত অভিযোজন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করে বিগত ২০০৯-১০ অর্থ বছর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ অর্থ দিয়ে প্রায় ৮৫০টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার ‘ মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (২০২২-২০৪১) নিয়েছে, যা মূলত আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য একটি কৌশলগত বিনিয়োগ কাঠামো। এছাড়া, সরকার ইতিমধ্যে ইউএনএফ সিসিসি এর আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজনমূলক কাজ বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (২০২৩-২০৫০) এবং গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতি স্বরূপ ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) প্রণয়ন ও হালনাগাদ কাজ শেষ করে ইউএনএফ সিসিসিতে দাখিল করা হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন গতিপথকে জলবায়ু বিপদাপন্নতা থেকে জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং তা থেকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জলবায়ু ফান্ডের ক্ষতিপূরণ অর্থ পাওয়া নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সরকারের নেওয়া এসব পদক্ষেপ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া অর্থ ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
এসআর/এসকেডি