নির্বাচনে বিদেশি চাপ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুকন্যার ডিকশনারিতে ভীতি শব্দটি নেই

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ জুন ২০২৩, ০৮:০৭ পিএম


বঙ্গবন্ধুকন্যার ডিকশনারিতে ভীতি শব্দটি নেই

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশিদের চাপ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার ডিকশনারিতে ভীতি শব্দটি নেই।

রোববার (২৫ জুন) রাজধানীর ফ‌রেন সা‌র্ভিস একা‌ডে‌মি‌তে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নি‌য়ে এক প্রশ্নের জবা‌বে এমন মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপিবিহীন নির্বাচনের পর একটি দেশ ছয় মাসের মধ্যে আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছিল। তখন এটিকে উচ্চাভিলাষী হিসেবে অভিহিত করেছিল সরকার। ওই সময়েও সরকার চাপে ছিল না এবং বর্তমানেও নেই।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ২০১৪ সালে যদি আমরা চাপ অনুভব না করি, বর্তমান সময়ে কোনও কিছুতে আমরা চাপ অনুভব করব না। আমরা সংবিধান অনুযায়ী, সরকারের ম্যান্ডেট যতদিন আছে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে যাবে। কাজ করে যাবে দ্ব্যর্থহীনভাবে। যে সময়ে নির্বাচন কমিশন তাদের তফসিল ঘোষণা করবে, যেদিন থেকে বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনের আওতাভুক্ত হয়ে যাবে। সেদিন সরকার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

২০১৪ থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সময়ে সবচেয়ে বেশি আইন প্রণয়ন হয়েছে বলে জানান শাহরিয়ার আলম।

দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে আসা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে কে এলো বা এলো না, সেটা বিবেচ্য নয়। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা রাখতে চায় না, তারা  অসহযোগিতা করবে। কেননা আমাদের দেশে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার নজির আছে।

২০০১ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে শাহরিয়ার আলম বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় বিষয়, যা আমাদের বিপক্ষে কাজ করেছে, সেটি হচ্ছে, আমরা ভারতকে গ্যাস দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছি মার্কিন চাপের মুখে। কই তখন তো কেউ বলেন না শেখ হাসিনা কেন ভারতকে গ্যাস দিলো না।

ব্রিকসে যোগদান ব্যাকআপ প্ল্যানের অংশ নয়

বাংলাদেশের ব্রিকসে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ব্যাকআপ প্ল্যানের কোনো অংশ নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমার জানামতে ব্রিকসে যোগদানের আবেদন ফরম নেই। তবে আমরা একটি চিঠি দিয়েছি। এটাকে আপনারা আবেদন বললেও বলতে পারেন। আমরা মনে করি, এ ধরনের শক্তিশালী জোটে যোগ দিলে আমাদের লক্ষ্য ত্বরান্বিত হবে।

মার্কিন ডলারকে বাইপাস করতে ব্রিকসে যুক্ত হওয়া বাংলাদেশের কোনো উদ্দেশ্য নয় বলেও জানান শাহরিয়ার আলম।

মার্কিন ভিসানীতি ও র‌্যাব প্রসঙ্গ

মার্কিন ভিসানীতি প্রসঙ্গে শাহরিয়ার বলেন, একটি দেশ ছাড়া অন্য কোনও দেশ নিষেধাজ্ঞা বা ভিসানীতি দেয়নি। একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে ওই রাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখব। আমরা আশা করি, এখানেও আপনারা উন্নতি দেখবেন। আমরা যোগাযোগ রাখছি এবং আমরা কাজ করছি।

বাংলাদেশ র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রত্যাহার করতে পারবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, র‌্যাব প্রশ্নে পরিষ্কারভাবে ওই দেশের প্রতিনিধিরা বলেছেন যে গত দুই বছরে বেশ উন্নতি হয়েছে। তাই যদি হয় তাহলে এর ফলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়া উচিত। আমরা এটি আদায় করে ছাড়ব।

শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখাতে পেরেছি, উন্নতির পরেও যদি এটি প্রত্যাহার না হয়, তাহলে একদিন আমাদের বুঝতে হবে; এর পেছনে নিশ্চয়ই অন্য কোনও কারণ আছে।

অনুষ্ঠানে ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস বক্তব্য দেন।

এনআই/জেডএস

Link copied